Chandrayaan 3 : চন্দ্রযানের সাফল্যে কোথাও বদল থিমে, কেউ বা অন্য পথে – palli youths has decided the theme of their durga puja on the pattern of chandrayaan 3


এই সময়: কাগজ আর পিচবোর্ড দিয়ে তৈরি চন্দ্রযান-৩ উড়ে গেল উত্তর কলকাতার সীতারাম ঘোষ স্ট্রিট থেকে। ড্রোন দিয়ে ওড়ানো হলো মহাকাশযানের রেপ্লিকা। যিনি ওড়ালেন, সেই মহম্মদ কামালউদ্দিনের ছেলে ইনশা সিরাজ নিজেই ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজ়েশনের (ইসরো) গ্রেড ওয়ান সায়েন্টিস্ট। কাজ করেন রকেট অ্যাসেম্বলিং ডিপার্টমেন্টে। ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত ছিলেন চন্দ্রাভিযানের সঙ্গে। আর এ ভাবে পুজোর প্রস্তুতি শুরু করলেন পল্লির যুবকবৃন্দ পুজো কমিটির সদস্যরা।

Chandrayaan 3 Landing : ঘরের ছেলেদের সাফল্যে মিষ্টি বিলি, উচ্ছ্বাস বঙ্গে
ঘোটকে নয়, দেবী আসছেন চন্দ্রযানে – ২৩ অগস্ট চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযানের সফল অবতরণের পর এই পুজোয় রাতারাতি বদলে গিয়েছে থিম। পুরোনো কলকাতার জানলা, ঝাড়লন্ঠন, রঙিন কাচ দেওয়া শার্সি আর পালকি দিয়ে থিম করার পরিকল্পনা ছিল ৬২ বছরের পুরোনো এই পুজোর। কিন্তু চন্দ্রাভিযান সফল হওয়ার পরেই ভোলবদল। যে ভাবেই হোক চন্দ্রযান-৩-কে থিমে অন্তর্ভুক্ত করতেই হবে।

Chandrayaan-3 Mission : চাঁদের মাটিতে চাকা গড়াল প্রজ্ঞানের, নেভিগেশন ক্যামেরায় দায়িত্বে উত্তরপাড়ার জয়ন্ত
এমনিতে পুজোর বেশি দেরি নেই। থিম অনুযায়ী পর মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু। লাইটিংয়ের বরাতও দেওয়া হয়ে গিয়েছে। প্রতিমার কাজও চলছে। তার মধ্যেই ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের নজরকাড়া সাফল্যে বহু পুজো উদ্যোক্তারই চিন্তা বেড়েছে। এঁদের অনেকে জানাচ্ছেন, দেশ-বিদেশের কোনও বড় ঘটনা সাধারণত পুজোর থিমে ঠাঁই পায়। কিন্তু এত অল্প সময়ের মধ্যে বিক্রমের সফল ল্যান্ডিংকে পুজোর থিমে পরিণত করা নিয়ে কিছুটা ধন্দে আয়োজকরা।

Chandrayaan 3 Update : চন্দ্রযানের ‘ওজন’ মাত্র ৯০ কেজি, ‘দাম’ ৪৫ হাজার, ব্যাপারটা কী?
কিন্তু সে সবে আমল না দিয়ে পল্লির যুবকবৃন্দ পুজো কমিটি বদলে ফেলেছে নিজেদের থিমটাই। পুজোকমিটির তরফে দেবার্ঘ্য দত্ত বলেন, ‘মণ্ডপে লোহার তৈরি চন্দ্রযানের বড় মডেল থাকবে। প্রতিমা আনতে পাড়ার যে দল যাবে, সেই দলের একেবারে সামনে থাকবে চন্দ্রযান ৩-এর রেপ্লিকা। আমাদের প্রতিমার এ বার চন্দ্রযানে আগমন।’ তাঁদের প্রাথমিক থিম ছিল ‘উত্তরের সাক্ষী’। কাজ শুরুও করেন মণ্ডপ-শিল্পী অভিজিৎ নন্দী এবং প্রতিমা-শিল্পী পরিমল পাল। এ বার তা বদলানোয় তাঁদের কাজ বাড়ল। মণ্ডপসজ্জার খরচও বাড়ল কিছুটা। তবে দেশের এতবড় সাফল্যের পর সেটুকু বহন করতে রাজি পাড়ার বাসিন্দারা।

Chandrayaan-3 Women Scientists: চাঁদ জয়ের অর্ধেক আকাশ নারীর, নেপথ্যে যে সকল মহীয়সীরা
এমনিতে লাইটিংয়ের জন্য বিখ্যাত কলেজ স্কোয়ার। কমিটির অন্যতম কর্তা সোমনাথ মল্লিক বলেন, ‘আমাদের আলোকসজ্জায় প্রতি বছরই রকেট বা প্লেন জাতীয় কিছু থাকে। এ বছর চন্দ্রাভিযানের সাফল্যে নতুন করে বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।’ যাদবপুরের কেন্দুয়ার শান্তি সংঘ সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির চেয়ারম্যান বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বক্তব্য, ‘মণ্ডপের কাজ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। এখন আর থিম বদলানো সম্ভব নয়। তবে ইসরোর সাফল্যকে কুর্নিশ জানাতে মণ্ডপে প্যাভেলিয়নের কথা ভেবেছি।’

ISRO Female Scientists : ‘রুটি গোল হোক না হোক…’, শাড়ি-চুড়িতে চাঁদ জয় ইসরোর মহিলা ব্রিগেডের, কুর্নিশ মোদীর
বেলেঘাটা ৩৩ পল্লিবাসী বৃন্দ ঠিক করেছে, চন্দ্রাভিযানের দৃশ্য তারা বড় পর্দায় তুলে ধরবে। বেহালার বড়িশা ক্লাবের কর্তা তথা স্থানীয় কাউন্সিলার সুদীপ পল্লে জানান, থিম বদলাচ্ছে না। তবে চন্দ্রযানের সফল অবতরণের জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ জানাতে মণ্ডপের চারপাশে হোর্ডিং লাগানো হবে। দক্ষিণ কলকাতার শিবমন্দির পুজো কমিটির কর্তা পার্থ ঘোষ জানান, আলোকসজ্জা বা লেজ়ার শো-এ এই সাফল্য তুলে আনার পরিকল্পনা তাঁদের।

Chandrayaan 3 Latest Update: ‘…যেন থাকে দুধে ভাতে’, চন্দ্রযান ৩ মিশনের অন্তিম মুহূর্তে সাফল্য কামনায় যজ্ঞ কোচবিহারে
পাশাপাশি চিন্তায় কুমোরটুলির প্রতিমাশিল্পী ও চন্দননগরের আলোকশিল্পীরাও। আলোকশিল্পী বাবু পাল বলেন, ‘চন্দ্রাভিযান জটিল ব্যাপার। অল্প সময়ের মধ্যে কারিগরদের দিয়ে কাজ করানো যাবে কি না, ভেবে দেখতে হবে। যে কাজের বরাত পেয়েছি, সেটা আগে শেষ করব। তারপর উদ্যোক্তারা চাইলে চেষ্টা করব।’ কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী মিন্টু পাল বলেন, ‘ভারতীয় চন্দ্রাভিযানের সাফল্যকে থিম করে প্রতিমা বানানোর জন্য এখনও আমাদের কাছে কেউ আসেননি। ঠাকুর বানানোর কাজও অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *