পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের বাড়িতে সেপটিক ট্যাঙ্কের কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন সাদিকুল। ট্যাঙ্কের মধ্যে তিনি পড়ে যান। ট্যাঙ্কে জমে থাকা গ্যাসে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। সাহায্যের জন্য চিৎকার করতেই ছুটে আসেন তাঁর দাদা নবীর। ভাইকে উদ্ধার করতে গিয়ে ট্যাঙ্কের ভিতর পড়েন যান নবীরও। দুজনেই ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান।
পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকল। অচৈতন্য অবস্থায় দুই ভাইকে উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে ঘটনার খবর জানাজানি হতেই হাসপাতালে ভিড় জমায় আত্মীয় পরিজনেরা। পরিবারের দুই সদস্যের এমনক আকস্মিক মৃত্যুর কথা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে পুলিশও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিনহাটা থানার পুলিশ।
মৃত নবীবের ছেলে মনিরুল হক বলেন, ‘মৃতদের মধ্যে একজন আমার বাবা আরেকজন কাকা। আজ সকাল ১০টা নাগাদ বাথরুমের ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার জন্য কাকা নেমেছিল। তখন ভিতরে জমে থাকা গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়তেই তিনি বাবার নাম ধরে চিৎকার করেন। বাবাও গিয়ে ট্যাঙ্কে পড়ে যান। গ্যাসের কারণে দু’জনেই সেখানে দম আটকে মারা গিয়েছেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরাও তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেছে।’
মৃতদের এক আত্মীয় জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘অনেকদিন আগে ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে শাটারিং হয়েছিল। সেটা খোলার জন্য প্রথমে ছোটভাই নামে। ভেতরে জমে থাকা গ্যাসে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর চিৎকারে বড় ভাই ছুটে আসেন। ভাইকে বাঁচাতে ট্যাঙ্কে নামলে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাদের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসে। খবর পেয়ে দমকল এসে দুই ভাইকে উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাদের মৃত বলে ঘোষনা করা হয়।’