জানা গিয়েছে, চলতি বছর প্রথম ছ’মাসেই মোট বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা ১৮ হাজার অতিক্রম করেছে। সব মিলিয়ে মোট সংখ্যাটা ১৮ হাজার ২৮৯। আইন দফতরের তরফে পাওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ৯২ হাজার ৯৪৮ জন যুগল। সেই বছর বিচ্ছেদের সংখ্যা ১ হাজার ৯৯৭। অন্যদিকে ২০২০ সালে বিয়ে হয় ১ লাখ ৪৯ হাজার ৭১৮টি, বিচ্ছেদের সংখ্যা ৩৬।
২০২১ সালে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে একলাফে অনেকটা বেড়েছিল বিয়ের সংখ্যায়। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৮১৪টি যুগল। সে বছর ডিভোর্সের সংখ্যা আরও ভয়ানক। ২০২১ সালে বিয়ে ভাঙে ৪ হাজার ৩৫১ দম্পতির। পিছিয়ে নেই ২০২২ সালও। ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৪টি বিয়ে হলে ডিভোর্সের সংখ্যা পাঁচ হাজারের ঘর অতিক্রম করে হয় ৫ হাজার ১২৫। চলতি বছরের জুন মাস অবধি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৪৪৬ জন দম্পতি। সেখানে ডিভোর্সের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৮০টি। ডিভোর্সের নিরিখে চলতি বছর রাজ্যে যে বড় রেকর্ড তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তা মেনে নিচ্ছেন অনেকেই।
নারী-পুরুষ নির্বিশেষে জীবনযাত্রার মান ও চিন্তা-ভাবনায় বদলই বিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ার পিছনে অন্যতম বড় কারণ বলে মনে করছেন মনস্তত্ত্ববিদরা। তাঁদের কথায়, আগে মহিলাদের আর্থিক স্বাধীনতা তুলনমূলকভাবে কম থাকার কারণে তাঁরা বিচ্ছেদের কথা ভাবতেই পারতেন। কখনও গার্হস্থ্য হিংসা সহ্য করে তাঁদের সংসার করতে হত। এখন মহিলারা আর্থিকভাবে অনেকে বেশি নিজের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তাঁরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অনেক সহজে। মনসত্ত্ববিদরা জানাচ্ছেন, স্ত্রী-পুরুষ উভয়ই মুক্ত চিন্তা-ভাবনার কারণে এখন আর কোনও ‘টক্সিক’ সম্পর্ক বয়ে বেড়াতে চান না। সেই কারণে অনেকেই বিচ্ছেদের রাস্তায় হাঁটেন। এটা ইতিবাচক দিক বলেই মত মনসত্ত্ববিদদের।