Duttapukur Blast : মুর্শিদাবাদে দেহ নিয়ে যাওয়া নিয়ে ধ্বন্দে পরিবার, পুলিশের হস্তক্ষেপে মিলল সুরাহা – duttapukur blast case victim family members came at barasat hospital


দত্তপুকুর বাজি বিস্ফোরণ কাণ্ডে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে নয়জনের। আহত বেশ কয়েকজনের চিকিৎসা চলছে বারাসত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায় বলে উঠে এসেছে ইতিমধ্যেই। মৃতের পরিবারের তরফ থেকে এদিন সকালে বারাসাত হাসপাতালে আসেন পরিবারের সদস্যরা। ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় তাদের।

নিয়ম মেনে পুলিশের কাছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিয়ে ময়না তদন্ত হলেও কিভাবে মৃতদেহ মুর্শিদাবাদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। ভেবেছিলেন অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাবেন। কিন্তু এক একটি শবদেহ পিছু অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া চাওয়া হয় ১৮ হাজার টাকা করে। মোট ৯০ হাজার টাকা দিতে পারলেই মৃতদেহ মুর্শিদাবাদে পৌছবেন গাড়ি চালকরা, এমনই দাবি করা হয়।

Duttapukur Blast News : দত্তপুকুর ফেরাল পিংলার স্মৃতি! সেই অভিশপ্ত সুতি থেকেই বাজি বিস্ফোরণের বলি ৬ কারিগর
সেই সময় মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানান, তেমন অবস্থা থাকলে আর মুর্শিদাবাদ থেকে বাজির কারখানায় কাজে আসতে হত না। মুর্শিদাবাদ সুতি থানায় বিষয়টি জানান তাঁরা। থানা জানায়, বিষয়টি দেখছে বলে। সেই সময় মর্গে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বাম নেতা মহম্মদ সেলিম। তিনি সমস্ত ঘটনা শুনে জানান, কি করতে পারেন দেখছেন।

কোনোরকমে কিছু টাকা সম্বল করেই তাঁরা এসে পৌঁছেছিলেন বলেও জানান। সকাল থেকে তেমন কিছু পেটে পড়েনি এই মৃত ব্যক্তিদের আত্মীয় পরিজনদের। শোকে কাতর এক পরিজন বলেন, ‘এই দিন দেখতে হবে কোনোদিন ভাবতে পারিনি। এখন দেহ নিয়ে বাড়ি কিভাবে ফিরব বুঝতেই পারছি না।’ এর পর বারাসত থানায় বিষয়টি জানান পরিবারের সদস্যরা।

Duttapukur Blast : ছ’মাস আগেই নালিশ থানায়, এলাকাবাসীর প্রশ্নে ‘মাসোহারা’
তারপরেই বারাসত থানার পুলিশের তৎপরতায় শুরু হয়ে তাদেরকে বাড়ি পাঠানো কার্যকলাপ। বারাসত থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের সহযোগিতায় মৃতদেহ সহ পরিবারের দুজনকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। বারাসত থানার IC গোটা বিষয়টি জানান বারাসতে জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে। অবশেষে বারাসত জেলা পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় ৫ জনের মৃতদেহ ৫ টি গাড়ি করে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হয় বিনা খরচে।

Duttapukur Blast : ‘দোতলা বাড়ি ভেঙে গেল…পুরো অন্ধকার! তারপর…’, আতঙ্ক কাটছে না স্থানীয় বাসিন্দা জামালের
জানা গিয়েছে, রাজমিস্ত্রির কাজের কথা বলে মুর্শিদাবাদের সুতির বছর রনি শেখ (১৬), জিরাথ শেখ বয়স (৫০), কলেজ শেখ (৪৫), আজাদ শেখ (১৯) এবং মাসুম শেখ (১৮) এই পাঁচজন কাজের জন্য আসেন। পরিবারের বক্তব্য, তারা কোনোভাবেই টের পাননি রাজমিস্ত্রির কাজের কথা বলে এভাবে বাজি বিস্ফোরক তৈরির কাজে তাঁদের নিযুক্ত করা হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *