Duttapukur Blast : হাত খরচের টাকার ‘লোভ’-ই হল কাল, বাবার বাজি কারখানায় কাজ করতে গিয়ে প্রাণ গেল মূল অভিযুক্তের ছেলের – duttapukur blast dead rabiul ali know his family background and personal life


দত্তপুকুর বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে কারখানার মালিক কেরামত আলির। ওই একই বিস্ফোরণ কেড়ে নিয়েছে কেরামতের ছেলে রবিউল আলির প্রাণও। বাবার বাজির কারখানায় মাঝেমধ্যে কাজ করতে যেত সে। মজুরির বিনিময়ে কাজ করতো। তেমনই রবিবারও বাবার কারখানায় কাজ করতে যান তিনি। কিন্তু আর ফেরা হল না। বিস্ফোরণে চিরতরে দূরে চলে গিয়েছেন রবিউল।

কেরামত আলির দুই বিয়ে। প্রথম পক্ষের ছেলে রবিউল। ১৭ বছর আগে রবিউলদের ছেড়ে চলে যায় কেরামত। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করে। প্রথম পক্ষের বিয়েতে কেরামতে দুই সন্তান। রবিউল ও তার বোন। আর দ্বিতীয় পক্ষের বিয়েতে ৩ সন্তান রয়েছে কেরামতের। বাবার সঙ্গে মাঝেমধ্যে কাজ করলেও, মূলত কলেজে পড়াশোনা করতেন রবিউল। সেই নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন তিনি।

Duttapukur Blast : ছ’মাস আগেই নালিশ থানায়, এলাকাবাসীর প্রশ্নে ‘মাসোহারা’
চকলেট পছন্দ ছিল রবিউলের
বোনের সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল রবিউলের। মাঝেমধ্যেই বোনের পছন্দের খাবারদাবার নিয়ে আসতেন তিনি। বোনকে পড়াশোনার খরচ, এমনকী হাত খরচও দিতেন রবিউল। আবার রবিউল খুব চকলেট খেতে ভালবাসতেন, তাই জন্য মাঝে মধ্যেই বাড়িতে চকলেট আসত। এখনও ফ্রিজে পড়ে রয়েছে একটি চকলেট, তবে তা আর খাওয়া হল না রবিউলের। প্রাণের প্রিয় দাদাকে হারিয়ে চোখের জল যেত থামতেই চাইছে না বোনের।

‘আরডিএক্স’? দত্তপুকুরে এনআইএ! ‘প্রমাণ লোপাটে পুলিশ’

প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল রবিউলের
কলেজের এক তরুণীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কও ছিল রবিউলের। এমনকী তরুণীর বাড়িতে রবিউলের পরিবারের লোকজন গিয়েছিল বলেই জানা যায়। রবিউলের বোনের সঙ্গেও কথা হত ওই তরুণীর। রবিউলের আশা ছিল, কলেজ পাশ করার পর, কোনও চাকরি পেলে, বাড়িঘর তৈরি করে সংসার পাতবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর কোনওদিনও বাস্তবায়িত হওয়ার নয়, কারণ গতকালের একটা বিস্ফোরণ, এক মুহূর্তে বদলে দিয়েছে গোটা ছবিটা।

দত্তপুকুরে ফের উদ্ধার দেহ, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বিস্ফোরক দাবি বাজি শিল্প সমিতির
যদিও কেরামত আলির দ্বিতীয় স্ত্রী জোবেদা বিবির অবশ্য দাবি, বাজি থেকে কোনওরকম বিস্ফোরণ হয়নি। বরং ৩টি গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই ঘটেছে ওই ভয়াবহ ঘটনা। এমনকী বাজির ব্যবসা কেরামতের নয় বলেও দাবি করেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। কেরামত সেখানে কাজ করত বলেই দাবি তাঁর। এক্ষেত্রে এলাকাবাসীরা মিথ্যা অভিযোগ করছেন বলেই দাবি করেন তিনি।

প্রসঙ্গত এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ। আহত আরও কয়েকজন। ঘটনার পর থেকেই কেরামতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পরিবার। শুরু হয়েছে ধরপাকড়ও। কিন্তু এই ঘটনা এক লহমায় ছাড়খাড় করে দিল অনেকগুলি পরিবারকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *