Duttapukur Blast News : কংক্রিটের চাঙড় উড়ে এসে কেড়ে নিল পাকা ছাদটা, ভয়াবহ অভিজ্ঞতার ব্যাখ্যা প্রত্যক্ষদর্শীর – duttapukur blast flying concrete plastic canopy of house blown away eyewitness shares horrifying experience


তাজমিরা বিবি, প্রত্যক্ষদর্শী
প্লাস্টিকের ছাউনি দেওয়া একচিলতে ঘরে আমাদের পাঁচ জনের টানাটানির সংসার। স্বামী-শ্বশুর দিনমজুর। অনেক বছর কষ্ট করে, ধান-দেনা করে মাথার ওপর একটা পাকা ছাদ বানিয়েছিলাম আমরা। মাসখানেক আগে গৃহপ্রবেশ করে থাকতেও শুরু করেছিলাম সাধের নতুন বাড়িতে। কয়েক সেকেন্ডের বিকট বিস্ফোরণ আর উড়ে আসা কংক্রিকেট চাঙড়ে আমাদের সেই ছোট্ট বাড়িটা শেষ হয়ে গেল!

Duttapukur Blast : ছ’মাস আগেই নালিশ থানায়, এলাকাবাসীর প্রশ্নে ‘মাসোহারা’
রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ ছাদে কাপড় মেলতে গিয়েছিলাম। আচমকা বিকট শব্দ। কিছু বোঝার আগেই দেখি, কংক্রিটের বড় বড় চাঙড় এসে পড়ছে আমাদের ছাদে। সঙ্গে পাথরের মতো টুকরো। গোটা বাড়িটা কাঁপছে। সামনে ১০ ফুটের রাস্তা পেরোলেই সামসুল আলির বাড়ি। ওখানে বাজি কারখানা চলে জানতাম। তখন কোনওক্রমে মাথা তুলে দেখি, চারদিকে ধোঁয়া। রাস্তার উল্টোদিকে সামসুলের বাড়িটা ভেঙে পড়েছে। একটার পর একটা বাজি ফেটে চলেছে, আর আশপাশের বাড়ির টালি, কাচ ভেঙে যাচ্ছে। কয়েকটা কংক্রিটের টুকরো আমার গায়েও বিঁধেছে।

Duttapukur Blast : ‘দোতলা বাড়ি ভেঙে গেল…পুরো অন্ধকার! তারপর…’, আতঙ্ক কাটছে না স্থানীয় বাসিন্দা জামালের
হঠাৎ খেয়াল হলো, মেয়েটা যে নীচে রয়েছে! পড়িমড়ি করে নেমে মেয়েকে কোলে তুলেই বাড়ির বাইরে ছুটি। বেরিয়ে এসে দেখলাম, এত খেটে বানানো বাড়িটার সামনের অংশ ভেঙে গিয়েছে। দেওয়াল ফাটা, একটা একটা করে ইট খসে পড়ছে। খাট, আলমারি, টিভি, টয়লেট – ঘরগুলো যেন ধ্বংসস্তূপ। আসলে সামসুলের ঠিক সামনেই বাড়িটা আমাদের। তাই হয়তো সবথেকে বড় ক্ষতিটা আমাদেরই হলো।

Nawsad Siddiqui on Duttapukur Blast : ‘অবৈধ লেনদেনের টাকা পৌঁছত…NIA হলে খাদ্যমন্ত্রীর নাম উঠবে’, দত্তপুকুরে বিস্ফোরক নওশাদ
তাও কপাল ভালো, পরিবারের সবাই বেঁচে রয়েছি। স্বামী-শ্বশুর কাজে বেরিয়েছিলেন, শাশুড়িও ছিলেন না ঘরে। শুধু ৬ বছরের মেয়েটাকে নিয়ে আমি জ্যান্ত বেরিয়ে আসতে পেরেছি। কিন্তু এ বার থাকব কোথায়? এতদিনে ৫ লক্ষ টাকা দিতে পেরেছি। বাড়ির জন্য আরও ১৫ লক্ষ টাকা দেনা। রক্ত জল করা পরিশ্রমে তৈরি বাড়িটা শেষ হয়ে গেল এ ভাবে। জনবহুল এলাকায় এভাবে বাজির কারখানা চলার বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ পিটিশন জমা দিয়েছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েতে, দত্তপুকুর থানায়। ওরা ব্যবস্থা নিলে, মাথার ওপর পাকা ছাদটা এ ভাবে হারাতে হতো না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *