Kolkata Durga Puja : কলকাতার পুজোয় ফিরছে স্পনসরশিপ – sponsorship returns to kolkata for durga puja after 3 years


প্রসেনজিৎ বেরা
প্যানডেমিকের গেরো কাটিয়ে বছর তিনেক বাদে দুর্গা পুজোয় স্পনসরদের জোরালো প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত। করোনার ঠিক আগে, ২০১৯-এ স্পনসরশিপের জন্য কর্পোরেট জগতের যে উৎসাহ ছিল, ২০২৩ সালে তারই পুনরাবৃত্তি দেখছেন মহানগরের বড়-মাঝারি পুজোর উদ্যোক্তারা। কোভিড-পর্বে স্পনসরশিপ কমার পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের রেটও মারাত্মক ভাবে কমেছিল। সেই ঘাটতিও এ বার পূরণ হয়ে কর্পোরেট জগতের বিজ্ঞাপনী রেট বৃদ্ধির আভাস পাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।

Chandrayaan 3 : চন্দ্রযানের সাফল্যে কোথাও বদল থিমে, কেউ বা অন্য পথে
বৃহত্তর কলকাতার অধিকাংশ বড়-মাঝারি পুজো কমিটির কাছে বিজ্ঞাপন দিতে চেয়ে বিভিন্ন অ্যাড এজেন্সি ও কোম্পানির তরফে এনকোয়ারি এসেছে বলে খবর। রেট চার্ট পাঠানোও শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই উদ্যোক্তাদের সঙ্গে স্পনসরদের আলোচনা শুরু হবে। বিশ্বকর্মা পুজোর আগে অধিকাংশ পুজো কমিটির সঙ্গে বিজ্ঞাপনদাতাদের পাকা কথা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’–এর সাধারণ সম্পাদক শ্বাশ্বত বসুর কথায়, ‘২০১৯ সালে স্পনসরদের কাছ থেকে যে রেসপন্স পাওয়া গিয়েছিল, এ বার সেই রেসপন্স আসছে। পুজোর খরচের প্রায় ৭০ শতাংশ স্পনসরশিপ থেকে আসে। ফলে এ বার স্পনসরদের উৎসাহ দেখে আমরা খুবই আশাবাদী।’

Sonagachi Durga Puja : প্রতিমায় মাটি ছুঁইয়ে’সেলিব্রিটি’ যৌনকর্মী, সোনাগাছিতে পুজোর মুখ ওঁরা
পুজোয় সাধারণত বড়-ছোট হোর্ডিং, ব্যানার, গেট, খাবার-সহ হরেক ধরনের স্টল, এলইডি ডিসপ্লে-তে খরচ করে কর্পোরেট জগৎ। এ বার প্রতিটি সেগমেন্টেই বিজ্ঞাপন দিতে চেয়ে উদ্যোক্তাদের কাছে কোটেশন চাইছে কর্পোরেট দুনিয়া। মহানগরের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের হাতে থাকা কিছু পুজো সব সময়েই বাড়তি খরচ করতে পারে। কিন্তু ওজনদার মন্ত্রীর ছায়ায় না-থাকা প্রথম সারির পুজোগুলির কাছেও এ বার এসেছে এনকোয়ারি।

Kamaleswar Mukherjee On Durga Puja Allocation: ‘দাদার খাটের নীচেই কয়েকশো কোটি…’, পুজোয় সরকারি অনুদান নিয়ে কটাক্ষ কমলেশ্বরের
উত্তর কলকাতার টালা বারোয়ারির সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘করোনার আগে যে সংখ্যায় স্পনসরশিপ আসত, এ বার তা ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভাবনাও রয়েছে। ২০১৯ সালে যত স্টল ছিল, এ বার তা বাড়তে পারে।’ কাশী বোস লেন পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৌমেন দত্ত বলেন, ‘কলকাতার পুজোয় সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন আসে এফএমসিজি সেক্টর থেকে। এ বার সেটা ফিরছে। এ ছাড়া রিয়েল এস্টেট থেকে সফট ড্রিঙ্কসের বিজ্ঞাপনের ইঙ্গিতও রয়েছে।’ বোসপুকুর তালবাগানের সম্পাদক কাজল সরকারের বক্তব্য, ‘মুম্বইয়ের ক্লায়েন্টরা কতটা ফিরবেন, তা গণেশ চতুর্থী কাটলে বোঝা যাবে। এ ছাড়া রাজ্য সরকার এ বার বিজ্ঞাপন দেবে বলেছে। কাজেই শেষ পর্যন্ত স্পনসরশিপ ভালোই হবে।’

Mamata Banerjee Sujit Bose: ‘রাস্তা ব্লক হলে আমি তোমাকে ব্লক করব’, পুজো উদ্যোক্তাদের বৈঠকে সুজিতকে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
কমিটিগুলির পর্যবেক্ষণ বলছে, পুজোয় স্পনসরশিপ আসে মূলত এফএমসিজি সেগমেন্টের মশলা, ভোজ্যতেল, প্যাকেটজাত খাদ্যপণ্য থেকে সাবান, শ্যাম্পু-সহ বিভিন্ন বিউটি প্রোডাক্ট থেকে। রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের বিজ্ঞাপনও থাকে। এ ছাড়া বিজ্ঞাপন আসে মোবাইল হ্যান্ডসেট নির্মাতা সংস্থার। স্পনসরশিপ থাকে টিমএমটি-বার, হোম পেইন্টস-সহ রিয়েল এস্টেটের। হোসিয়ারি, হেল্থ-হাইজিন প্রোডাক্ট, লটারি ও অনলাইন গেম সংস্থাগুলিও পুজোয় স্পনসর করে।

Durga Puja 2023 : শ্রীরামপুরে বৃন্দাবনের মন্দির, ১১০ বছরের প্রাচীন পুজোয় এবার ফাটাফাটি মণ্ডপ
কলকাতার পুজোয় স্পনসররা ফেরার কারণ ব্যাখ্যা করে শিল্পপতি সঞ্জয় বুধিয়া বলেন, ‘প্যানডেমিকের পর জনজীবন স্বাভাবিক হয়েছে। অর্থনীতি আগের ছন্দে ফিরছে। দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজের শিরোপা পেয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই কর্পোরেট জগৎ এই ফেস্টিভ্যালকে এড়িয়ে থাকতে পারে না।’ ‘কনফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনস’-এর প্রেসিডেন্ট সুশীল পোদ্দারের কথায়, ‘পুজোয় ১০-১২ দিনের ছুটি থাকে। এই সময়ে কর্পোরেট জগৎ তাদের পণ্যের বিপণন করতে চায়। করোনার কারণে গত তিন বছর এটা সে ভাবে করা যায়নি।’ দেশপ্রিয় পার্ক পুজো কমিটির সম্পাদক সুদীপ্ত কুমার অবশ্য বলছেন, ‘স্পনসরশিপের জন্য এনকোয়ারি এসেছে। তবে বুকিং শুরু হলে বুঝব, শেষ পর্যন্ত আগের জায়গায় কতটা পৌঁছতে পারলাম।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *