সূত্রের খবর, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার রোবটের চাহিদা বাড়ছে বাংলার বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও। একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য রোবট ব্যবহার করতে চেয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে অনুমতি চেয়েছে, সূত্রের খবর এমনটাই।
দেশের একাধিক বড় হাসপাতালগুলিতে বর্তমানে উন্নত শল্য চিকিৎসার জন্য রোবটিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। দিল্লি AIIMS থেকে শুরু করে মুম্বইয়ের টাটা মেডিক্যাল, চিকিৎসায় ‘কেরামতি’ দেখাচ্ছে রোবট। এবার সেই পথে হাঁটতে চলেছে বাংলা।
অপারেশন করবে রোবট? কী ভাবে?
চিকিৎসকদের কথায়, এই মুহূর্তে লিভার থেকে শুরু করে টিউমার একাধিক জটিল অপারেশন করতে সিদ্ধহস্ত রোবট। কিন্তু, স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে পারে, কী ভাবে কাজ করবে এই রোবট?
এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আদতে রোবটকে নিয়ন্ত্রণ করেন একজন সার্জেনই। অনেক সময় কিছু কিছু সার্জারির ক্ষেত্রে বহু জায়গাতে চিকিৎসকদের হাত পৌঁছয় না। সেই অংশে সহজেই পৌঁছে যেতে পারে এই রোবটগুলি। একইসঙ্গে মানুষ যদি অপারেশন করে সেক্ষেত্রে বিরল কিছু ক্ষেত্রে সার্জেনের হাত কাঁপার সম্ভাবনা থাকে। রোবটের ক্ষেত্রে কিন্তু তা হয় না।
যদিও রোবট প্রযুক্তি কিন্তু পরিচালিত একজন চিকিৎসকের দ্বারাই। অর্থাৎ অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানব উন্নয়নই এই প্রযুক্তির লক্ষ্য।
SSKM ও রোবট প্রযুক্তি…
২০১৯ সালে প্রথম বাংলার এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রোবট নিয়ে আসার বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু, এরপরেই চোখ রাঙাতে শুরু করেছিল করোনা। আর কোভিড কোপে রোবট প্রযুক্তিকে নিয়ে আসার যে পরিকল্পনা ছিল তা কার্যত ভেস্তে যেতে বসেছিল।
এরপরে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। বর্তমানে AI এবং রোবট প্রযুক্তি আরও উন্নত-নিখুঁত হয়েছে। ফলে জনকল্যাণে সরকারের তরফে এই প্রযুক্তি নিয়ে আসা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম ‘বর্তমান’-কে জানান, SSKM হাসপাতালে একটি রোবট নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, পুজোর পরেই এই রোবটটি পিজিতে আসবে। এই উদ্যোগের ফলে উপকৃত হবেন বহু মানুষ, এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।