Bidhannagar Municipal Corporation : অপচয় ঠেকাতে বিধাননগরে পানীয় জলে মিটার, নথিভুক্ত হবে খরচের পরিমানও – bidhannagar municipal corporation will install meter in reservoir and pumping stations


নিউটাউন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে সল্টলেকের প্রাপ্ত জলের পরিমান পরিমাপ করার জন্য রিজার্ভার ও পাম্পিং স্টেশনগুলিতে মিটার বসানোর পরিকল্পনা বিধাননগর নগর নিগমের। এই বিষয়ে নগর নিগমের কর্তারা জানাচ্ছেন, কতো পরিমান জল পাওয়া যায়, তা তাঁদের গোচরে আছে। কিন্তু তার কোনও বাস্তব রিডিং বা পরিসংখ্যান নেই। আর এই মিটার সেই রিডিং পেতে সাহায্য করবে।

জনস্বাস্থ্য কারিগরী বিভাগ এবং নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি দ্বারা প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, সল্টলেক প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ মিলিয়ন গ্যালন জল পায়। এই বিষয়ে বিধাননগর নগর নিগমের এক কর্তা বলেন, ‘আমরা কতটা জল পাব তার একটা হিসেব আছে, কিন্তু প্রকৃত পরিসংখ্যান নেই। আমরা যখন মিটার ইনস্টল করব, তখন আমরা প্রকৃত চিত্রটা পাব।’ প্রসঙ্গত সল্টলেকের পরিকল্পিত অঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকাই নিউটাউনের জল শোধনাগার থেকে পরিশোধিত জল পায়।

Drinking Water : পানীয় জল অপচয়ে শাস্তি না মিটারেই সমাধান? বড় ইঙ্গিত রাজ্যের মন্ত্রীর
প্ল্যান্টের এই জল সেন্ট্রাল পার্কের কাছে একটি পাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়। সেখান থেকে থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ৯টি ছোট পাম্পিং স্টেশন হয়ে ১৩ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে ২টি এবং ৫ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে একটি জলাধারে পৌঁছয়। ওই জলাধারগুলি থেকে সল্টলেকের ২০ হাজারেরও বেশি বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া হয়।

বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সল্টলেকের প্ল্যানড এলাকায় ২ড৬ হাজার বাড়ি রয়েছে। তবে ৬ হাজার বাড়ি এখনও পরিশোধিত পানীয় জল পায় না। তারা মূলত ভূগর্ভস্থ জলের ওপরেই নির্ভরশীল। বিধাননগর নগর নিগমের এক আধিকারিক বলেন, সেন্ট্রাল পার্ক পাম্পিং স্টেশন এবং ৫ নম্বর ট্যাঙ্ক পাশের জলাধারে ইতিমধ্যেই মিটার ইনস্টল করা আছে৷ আমরা পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জলাধার এবং পাম্পিং স্টেশনগুলিতে মিটার ইনস্টল করব।’ জলাধার এবং পাম্পিং স্টেশনগুলিতে কত পরিমান জল আসছে এবং কত পরিমান জল বেরোচ্ছে, তার হিসেব রাখতেই বসানো হবে ওই মিটার। বিধাননগর নগর নিগমের জল সরবরাহ বিভাগের একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘মিটার ইনস্টল আমাদের সমস্ত সময়েই সল্টলেকে প্রাপ্ত জলের পরিমাণ এবং বিতরণ করা জলের পরিমাণ বুঝতে সাহায্য করবে।’

WBSEDCL Smart Meter : ডিজিটাল বদলে এবার বাড়িতে বিদ্যুতের স্মার্ট মিটার, গ্রাহকদের কী কী সুবিধা?
প্রসঙ্গত, সারা দেশের অন্যান্য মেট্রো এবং টায়ার ওয়ান শহরগুলির মধ্যে কলকাতা এবং সল্টলেকেই একমাত্র জলের জন্য কোনও ফি বা কর আদায় করা হয় না। ২০১৭ সালে উত্তর কলকাতায় জলের মিটারগুলি প্রথম চালু করা হয়েছিল যাতে ওই এলাকায় জলের খরচের পরিমান ধরা যায়। এরপর ২০২১ সালে কলকাতা পুরসভা কসবা, যাদবপুর এবং পাটুলির পাঁচটি ওয়ার্ডের বাড়িতে জলের মিটার বসিয়েছিল, যাতে অপচয় রোধ করা যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *