এর আগে ২০০৭ সালে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ চক্রবর্তীকে। সেই সময় দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর দমদম বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা৷ বাজার থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে চক্র গ্রুপের এই কর্ণধারের বিরুদ্ধে। অতীতে গরফা-সহ কলকাতা পুলিশের একাধিক থানায় পার্থ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়৷ একসময় একটি সংবাদপত্রের সম্পাদকও ছিলেন পার্থ।
সেই সময় গরফা এলাকায় কিছু ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে বহু টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে পার্থ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ ওঠার পর দীর্ঘ সময় গা-ঢাকা দিয়ে থাকেন পার্থ৷ তাঁর সঙ্গে কোনও প্রভাবশালীর যোগ রয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হয় সেই সময়।
অন্যদিকে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা সংক্রান্ত একটি মামলায় প্রীতিময় চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তিকে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচার ভবনের সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের বিচারক। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দাবি, বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা পিনকন-এর মামলায়, ধৃত ব্যবসায়ী কৌস্তভ রায়ের সংস্থা থেকে ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে প্রায় ১৩৮ কোটি টাকা নিজের সংস্থায় নিয়েছিলেন প্রীতিময়। এই বিষয়ে ইডির অরিজিৎ চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ওই টাকা নানা ভাবে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে বলে তথ্য মিলেছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের গ্রেফতারিকে ঘিরে সোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। পরবর্তী সময়ে আরও বেশকিছু চিটফান্ড সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। চলে ধরপাকড়ও। আর ইডির জালে চক্র গ্রুপের কর্ণধার।