সেই গোডাউন থেকে বাজি উদ্ধার করতে একটি লরি নিয়ে আসা হয়, উপস্থিত ছিলেন দমকল দফতরের কর্মীরাও। এই কারখানায় কত টন বাজি মজুত করা ছিল তার কোনও সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে বাজিগুলি এবং সেই বাজি দমকল দফতরের সহযোগিতায় জল দিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। যেখানে গত রবিবার বিস্ফোরণ হয়, সেখান থেকে কয়েকশো মিটার দুরেই এই পেঁয়াজের গোডাউনের নামে চলত পেটি পেটি বাজি মজুত করে রাখা। কোথায় যেত এই বাজি বা কে এই ব্যবসা করতো পুলিশের নজর এড়িয়ে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সাইদুর রহমান নামে এক ব্যক্তির এই গোডাউন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘বেশ অনেকদিন ধরে আমরা জানতাম যে এখানে নিষিদ্ধ বাজির কারবার চলে। সামনে পেঁয়াজ রেখে দেওয়া হত যাতে কেউ বুঝতে না পারে। কিন্তু আমরা স্থানীয়রা তা জানতাম।nভয়ে কেউ কোনওদিন মুখ খোলার সাহস পাইনি কারণ এর আগে একবার একজন প্রতিবাদ করেছিলেন। তখন তাঁর কপালে জুটেছিল মার ও পরিবারকে হুমকি। সেই কারণে অনেকেই পিছিয়ে এসেছিলেন।
কিন্তু রবিবার যা ঘটল তারপর আর চুপ থাকা যায়না। বলা যায় না, কোনওদিন এখানে বিস্ফোরণ হবে, আর আমাদের বাড়ি উড়ে যাবে। তখন কোথায় যাব’! ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ‘রবিবার বিস্ফোরণের পর পুলিশ ও সরকার যেভাবে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে, তাতে সাহস পাওয়া গেল।
আর সেই কারণে সবাই মিলে আমরা প্রতিবাদ করলাম। পুলিশ, দমকলকে খবর দেওয়া হল। তাঁরাও এসে সহযোগিতা করেছেন’। এদিকে, এই গোডাউনের মালিকের খোঁজ পেতে তল্লাশি জারি রয়েছে বোলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।