Duttapukur Blast : বাজি: গুচ্ছ নির্দেশই সার, সেটিংয়েই শেষ নজরদারি – as each and every explosion incident comes to the fore questions are being raised about the role of the police administration


সুপ্রকাশ মণ্ডল
আদালতের নির্দেশ ছিল। সরকারি নির্দেশও। কিন্তু নজরদারি? এক-একটা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে আর বেআব্রু হয়ে যায় বাজি কারখানায় নজরদারির বিষয়টি। পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা ঘিরে বার বার উঠে আসে সেটিংয়ের তত্ত্বই। এগরায় বিস্ফোরণের পরেও অভিযোগ উঠেছিল, পুলিশকে ‘তুষ্ট’ করেই চলত বাজির বেআইনি কারবার। তার পর পরই গত মে মাসে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নজরদারি নিয়ে চিঠি দেন পরিবেশকর্মীরা। তাতে দাবি তোলা হয়েছিল, আদালতের নির্দেশে সবুজ বাজি ছাড়া কোনও বাজিই বৈধ নয়। ফলে যতদিন না রাজ্যে সবুজ বাজির কারখানা হচ্ছে, ততদিন সব বাজি কারখানাই বন্ধ করা হোক। কিন্তু সে কাজ যে কিছুই হয়নি, তার প্রমাণ দত্তপুকুরের দুর্ঘটনা। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীও প্রশ্ন তোলেন, চার মাস আগে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল, তার পরেও কেন পুলিশ নজরদারি করেনি!

Duttapukur Blast : দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, এখনও পর্যন্ত মৃত ৬
২০১৫ সালে জাতীয় পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু এড়াতে এবং পরিবেশ বাঁচাতে সমস্ত বেআইনি বাজি কারখানা ভেঙে ফেলতে হবে। রাজ্য সরকারের তরফেও ঘোষণা হয়, সমস্ত বাজি কারখানা ভেঙে নতুন করে ক্লাস্টার তৈরি করে বাজি কারখানা আইনসিদ্ধ করার পাশাপাশি নজরদারি চালানো হবে। পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, কোনও বাজি কারখানাই ভাঙা হয়নি।

Duttapukur Blast : দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, সাসপেন্ড IC-OC
এগরার বিস্ফোরণের পরে পরেই পরিবেশকর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। তার পরে সপ্তাহ না-ঘুরতেই বজবজে বিস্ফোরণে তিন জনের প্রাণ যায়। ‘সবুজ মঞ্চ’-এর সাধারণ সম্পাদক নব দত্ত মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছিলেন, এগরা-বজবজের মতো অসংখ্য বাজি কারখানা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রকাশ্যেই চলছে। পুলিশ জেনেশুনেও কোনও পদক্ষেপ করছে না।

Duttapukur Blast News : দত্তপুকুর বিস্ফোরণের বাড়ছে মৃত্যু, অভিযুক্ত সামসুর-আজিবর কারা?
‘পরিবেশ আকাদেমি’ সংগঠনের সভাপতি বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়ও গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক বার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে গত কয়েক বছরে কোথায় কোথায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে কত জনের মৃত্যু হয়েছে, সে তথ্য তুলে ধরেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নির্দেশিকা জারি করেই দায় সারে। নব দত্তর প্রশ্ন, ‘পুলিশ কি জানতে পারে না যে কোথায় অবৈধ বাজি কারখানা রয়েছে? একের পর এক কারখানায় বিস্ফোরণ হলে জানা যায় যে, সেগুলি দীর্ঘদিন প্রকাশ্যেই চলছিল।’ তাঁর প্রশ্ন, সবুজ বাজির ক্লাস্টার এখনও তৈরিই হয়নি। তা হলে এ-সব কীসের কারখানা?



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *