Hooghly Ferry Service: ‘যে কোনও দিন হবে বড় দুর্ঘটনা’, হুগলি নদী জলপথ পরিবহনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ BJP-এর – bjp bring serious complain of negligence and scam against hooghly river ferry service department


Ferry Service Timing In Kolkata: রাজ্য সমবায় দফতরের আর্থিক কেলেঙ্কারির পর ফের দফতরের বিরুদ্ধে যাত্রীদের জীবন নিয়ে খেলা ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সরব হাওড়া বিজেপি। ‘হুগলি নদী জলপথ পরিবহন’-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলল গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার দুপুরে হাওড়া সদর বিজেপির দফতরে সাংবাদিক সম্মেলন করে সংস্থার বিরুদ্ধে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে অবহেলা, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পরিষেবা দেওয়া সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক উমেশ রাই।

মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ওই সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে,’ হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমিতি মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করছে। সংস্থার ২৬ টি ভেসেলের মধ্যে ৬ টি ভেসেল সম্পূর্ণভাবে যাত্রী পরিষেবার জন্য অযোগ্য অবস্থাতে রয়েছে। এগুলো বাতিল হওয়ার কথা তবু পরিষেবাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাকি ৯ টি ভেসেলের ফিটনেস সার্টিফিকেট অবধি নেই। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ভেসেল কী অবস্থায় আছে তা সার্ভে করার নিয়ম। যদিও এই সংস্থা তা করাচ্ছে না। ভেসেলের এই অবস্থা হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে, এতে যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে মানুষের প্রাণ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

এছাড়াও ওই সাংবাদিক সম্মেলন থেকে আরও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। উমেশ বলেন,’অবৈধ টিকিট ছাপিয়ে মুনাফা চুরি করা হচ্ছে। বিজ্ঞাপনের অর্থ লুট করা হয়েছে। কর্মচারীরা মাসের বেতন প্রতি মাসে পাচ্ছেন না। দৈনিক মজুরীর নামে শাসক দলের নেতারা অর্থ লুঠ করছে। এছাড়াও সমবায় ব্যাঙ্ক সহ ওই দফতরেও একাধিক বড় দুর্নীতি রয়েছে।’ উমেশ জানান, এই সংস্থার পুনরুজ্জীবনের জন্য রাজ্য সরকার কয়েক কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিল সেটাও লুট করা হয়েছে। এমনকি ভেসেল সারানোর জন্য প্রাপ্ত টাকাও চুরি হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার। উমেশ আরও বলেন, ‘তৃণমূল মানেই চুরি করবে এটা স্বাভাবিক। যদিও মানুষের প্রাণ নিয়ে খেলা হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।’ তাই তারা চিঠি দিয়ে জানালে ওই সংস্থাই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছে বলেও উমেশ দাবি করেন।

সরকার ও সংস্থার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন,’ ইডেনে খেলা থাকলে হাজার হাজার মানুষ ওই ভেসেলেই যাতায়াত করে যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে তার দায় মুখ্যমন্ত্রী না ওই দফতরের মন্ত্রী নেবে?’ উমেশের দাবি, ‘ আমরা মুখ্যমন্ত্রী সহ সমবায় দফতরের অধিকারিককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। এতে যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে আমরা আদালতে এই নিয়ে জানাবো। এই সংস্থা আর্থিকভাবে সম্পূর্ণ ডুবে গেছে। কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছে না। হাওড়া জেটি, নাজিরগঞ্জ, চাঁদপাল, শিবপুর সহ সংস্থার সবকয়টি জেটি থেকেই এই খারাপ ভেসেলগুলো চলছে, যেগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ।’ যদিও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে সংস্থা আধিকারিকরায এই বিষয় দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে কোন রকম যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *