Sutapa Chowdhury Murder: ৩৮৩ পাতার চার্জশিট! সুতপা খুনে দোষী সাব্যস্ত সুশান্ত


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৩৮৩ পাতার চার্জশিট। ৩৪ জনের সাক্ষীগ্রহণ। বহরমপুরে সুতপা খুনে দোষী সাব্যস্ত হল সুশান্ত। বহরমপুরের তৃতীয় দ্রুত নিষ্পত্তি (ফাস্ট ট্র্যাক) আদালতের অতিরিক্ত ও জেলা দায়রা বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক সুতপা চৌধুরী খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করলেন সুশান্তকে। সুশান্তর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সুতপা চৌধুরীর। সুতপা সেই সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসতেই এই কাণ্ড ঘটায় অভিযুক্ত। 

২০২২ সালের ২ মে। সোমবার। সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৩৫ মিনিট। বহরমপুরের অভিজাত পাড়ায় ঘটেছিল সেই হাড়হিম করা ঘটনা। ভরসন্ধ্যায় নিজের মেসের বাইরে খুন হন বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী। মালদার বাসিন্দা সুতপা বহরমপুরে পড়তে এসেছিলেন। সেই বহরমপুরেই প্রেমিকের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়ে যান সুতপা। সেদিন এক বন্ধুর সঙ্গে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন সুতপা। সিনেমা দেখে ফেরার সময় সুতপার পিছু নেয় সুশান্ত। মেসের সামনে আসতেই হামলা করে সে। খুনের ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। খুনের  কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সামসেরগঞ্জের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে সুশান্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। 

পুলিসের তদন্তে উঠে এসেছে, পুর্বপরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয় ছাত্রীকে। খুনের আগে অনলাইনে একটি খেলনা বন্দুকও কিনেছিল অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী। সুতপাকে খুনের সুযোগ খুঁজতে বহরমপুরে একটি মেসে থাকতেও শুরু করেছিল সুশান্ত। শেষ যে মেসে সুশান্ত ছিল, সেই মেসের দূরত্ব সুতপার মেস থেকে মাত্র ২৫০ মিটার। ঘটনার ৭৫ দিনের মাথায় বহরমপুর আদালতে সুতপা হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট পেশ করে পুলিস। অভিযুক্ত সুশান্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ও ২০১ ( প্রমাণ লোপাট)  ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। আদালতে জমা পড়ে ৩৮৩ পাতার চার্জশিট।

অভিযুক্ত সুশান্তকে খুনের পর নিজের চোখে পালাতে দেখেন দুই সাক্ষী। জানা যায়, খুনের পর পাঁচিল টপকে পালায় সুশান্ত। এরপর যায় তার মেসে। সেখান থেকে বেড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল সে। খুনের উদ্দেশ্যে সন্ধ্যা ৬টায় মেস থেকে বেরিয়েছিল সুশান্ত। ফের মেসে ফেরে সন্ধ্যা ৭ টায়। তারপর সেখান থেকে পালায় সুশান্ত। কলেজ পড়ুয়া সুতপার দেহে ছিল ৪২টি আঘাত। আঘাত গুরুতর হওয়াতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা সুতপাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে পিস্তল দেখিয়ে ভয়ও দেখায় সুশান্ত। পরে যদিও পুলিস জানায়, ওই বন্দুক আসলে খেলনা বন্দুক।

সুতপা চৌধুরীর পরিবারের অভিযোগ, ২০১৭ সাল থেকেই একাধিকবার সুতপার সঙ্গে অশান্তি করেছিল সুশান্ত। তদন্তে উঠে আসে,  সুতপা চৌধুরীর উপর রাগ ও হতাশা থেকেই এই খুন। পুলিসকে বিভ্রান্ত করতে প্রথমে মিথ্যা বয়ান দেওয়ারও চেষ্টা করে সুশান্ত। তবে লাভ হয়নি। শুনানি চলাকালীন ৩০ জনেরও বেশি মানুষের সাক্ষী গ্রহণ করেছে আদালত। তদন্তে রয়েছে একাধিক ‘ইলেকট্রনিক এভিডেন্স’ ও। রয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ, এক সাক্ষীর দেওয়া ভিডিয়ো ফুটেজ, অভিযুক্তের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন সহ কল রেকর্ড।

 

 

 

 

আরও পড়ুন, Birbhum: বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে মেশিনগান? প্রাক্তন তৃণমূল নেতার রিল পোস্টে হইচই!

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *