জেলা আবগারি দফতরের হিসেব অনুযায়ী, রামপুরহাটের মনসুবা মোড় থেকে তারাপীঠের বেসিক মোড় পর্যন্ত ২২টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান রয়েছে। এছাড়াও কিছু অবৈধ কাউন্টার রয়েছে বলেও অভিযোগ। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয় ওই এলাকায়। আর কৌশিকী অমাবস্যার মতো বিশেষ দিনে ৩ কোটি টাকারও বেশি মদ বিক্রি হয়। পাশাপাশি শ্মশান-সহ গোটা তারাপীঠে গাঁজা, ব্রাউনসুগার ও হেরোইনও বিক্রি হয় বলে অভিযোগ।
মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ এলাকাবাসীর
স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, দিনে কিছুটা রাখঢাক থাকলেও, সূর্যডোবার পর প্রকাশ্যেই শুরু হয় নেশার আসর। এমনকী স্থানীয় একটি পার্কেও নেশার আসর বসার অভিযোগ উঠেছে। ফলে ইচ্ছা থাকলেও পর্যটকরা সেখানে বেড়াতে যেতে ভয় পান। তবে এবার কৌশিকী অমাবস্যা সংক্রান্ত প্রস্তুতি বৈঠকে এই বিষয়ে সরব হন অনেকেই। স্থানীয়রা অনেকেই অভিযোগ করেন, এর ফলে একদিকে যেমন এলাকাবাসী, বিশেষত মহিলারা আতঙ্কের মধ্যে থাকছেন, অন্যদিকে পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবেও নাম খারাপ হচ্ছে তারাপীঠের। এর ফলে এখানকার পর্যটনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা অনেকের।
ড্রোন দিয়েও নজরদারি
সেই বৈঠকে যত্রতত্র মদের আসর নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে টিআরডিএ-র চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্তাদের এই বিষয়ে সতর্ক হওার কথা বলেন। আর শুধু কৌশিকী অমাবস্যাই নয়, বছরের অন্যান্য সময়েও যাতে প্রকাশ্য নেশার আসর না বসে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানান তিনি। অন্যদিকে এই বিষয়ে রামপুরহাটের এসডিপিও ধীমান মিত্র ডানান, প্রকাশ্যে মদের আসর বসলেই ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। কৌশিকী অমাবস্যার সময় পুলিশের পাশাপাশি ড্রোন দিয়েও চালানো হবে নজরদারি।