Uttar Dinajpur School : প্রাইমারি স্কুলে ঝুঁকির পঠন-পাঠন! যেকোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে ছাদ – uttar dinajpur primary school building may collapse any time


যেকোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। ভেঙে পড়তে পারে স্কুল বিল্ডিং। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পঠন পাঠন। এমনই চিত্র ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলায়। রায়গঞ্জ ব্লকের ৯ নং গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিটিয়ার এলাকায় অবস্থিত নয়াটুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ভয়ঙ্কর ছবি উঠে এসেছে। বিদ্যালয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন। পড়ুয়া ও নিজেদের প্রাণের কথা ভেবে আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারাও।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের পাশেই রয়েছে নাগর নদী। বিগত দিনে বন্যায় নদীর জল উঠে বিদ্যালয় ভবকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো বেহাল হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই ভবনের একাংশের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। একই সঙ্গে গোটা বিদ্যালয় ভবনের দেওয়াল, মেঝে ও ছাদে মারত্মক ভাবে ফাটল ধরেছে। মেঝে থেকে দেওয়ালের সংযোগের একেবারেই নড়বড়ে অবস্থা। যেকোনও মুহূর্তে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়তে পারে গোটা ভবন। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যেই প্রান হাতে করে চলছে পঠনপাঠন।

Paschim Medinipur : স্কুল খুলতেই ভেঙে পড়ল ছাদের চাঙড়! বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা, আতঙ্কে পড়ুয়ারা
নয়াটুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৫৭। স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ৫ জন। তবে বিদ্যালয়ের দৃশ্য দেখে ছাত্রছাত্রীরা রীতিমত আতঙ্কে ভুগছে। ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে সারা দিন দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের। অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধানের দাবী জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

Bankura News : ডিঙি চেপে যাতায়াত, বাঁকুড়ায় নদীর চরে থাকা স্কুলে কমছে শিক্ষক-পড়ুয়ার সংখ্যা
পড়ুয়াদের পাশাপাশি আতঙ্কে রয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা জানিয়েছেন, একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। বর্তমানে যতটা সম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করে পঠনপাঠন চলছে। কিন্তু যে কোনও মুহূর্তে বড় ধরনের কোনও বিপদ ঘটে যেতে পারে।

Durgapur News : স্কুলের সামনে বেহাল রাস্তা, চরম দুর্ভোগে পড়ুয়া থেকে স্থানীয়রা
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরুণ কুমার দাস বলেন, ‘১৫৭ জন পড়ুয়া হলে ক্লাসরুম মোটে তিনটি। পড়ুয়াদের বাধ্য হয়ে বারান্দায় বসাতে হচ্ছে। অন্যদিকে যে স্কুল বাড়াব তাঁর কোনও উপায় নেই। কারণ স্কুলের পিছনে রয়েছে নদী। যে কোনও সময়ে এই স্কুল ভেঙে যেতে পারে। ৮-১০ বছর ধরে এই অবস্থা। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। স্থানীয় বিধায়ক এসে দেখে গিয়েছেন। জানিয়েছেন ব্যবস্থা করবেন। যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ছাত্রদের নিয়ে আমরা সবসময় আতঙ্কে রয়েছি। হয় বিদ্যালয় অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হোক বা নতুন করে সংস্কার করা হোক। আমাদের এই স্কুলে পরিকাঠামোর অভাব ভীষণই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *