‘১০০ দিনের কাজ নেই তাই বোমা তৈরি করছে’, বিস্ফোরণের ঘটনায় মমতাকে তোপ দিলীপের


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘পশ্চিমবঙ্গে বিস্ফোরণ কোন নতুন ব্যপার নয়। লোকে দীপাওয়ালিতে বোম ফাটায়। আর আমরা সারা বছর বোমা ফাটাই। তাই ব্লকে ব্লকে এমন বিস্ফোরণ হচ্ছে আশে পাশের বাড়ি ও পাড়া পুরো উড়ে যাচ্ছে। মানুষের শরীর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতে কিছু বলবেন না।’ এদিন দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ। 

আরও পড়ুন, Train: কাটোয়া-ব্যান্ডেল শাখায় বন্ধ ট্রেন চলাচল, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা

উনার পায়ের তলায় বোমা রেখে দিয়ে গেছে আর উনি বুঝতে পারছেন না। যে কিছু জানেনা নির্দোষ সে মারা যাচ্ছে। উনি যুক্তি দেন এখানে লোকেরা খেতে পায় না ১০০ দিনের কাজ নেই তাই বোমা তৈরি করছেন। পুলিশ কি এখানে খায় দায় আর ঘুমই। ওখান থেকে দুধের গাড়িতে করে বোম সাপ্লাই হত। ট্রাংকি করে বারুদ আসতো। সব জানে পুলিশকে বলেনি। পুলিশকে বললে পুলিশ উল্টো কেস দেয়। পুলিশ টা কা নেয়, নেতারা টাকা নেই আর দিনের পর দিন এই অবৈধ কাজ চলতে দিয়েছে। এই ধরনের বিস্ফোরণের সবার মাথা ঘুরে গেছে। সবাই ভাবছে আমার পাড়াতেও হয়তো এই ধরনের বিস্ফোরণ হবে। যত দিন যাচ্ছে তত ভয়ংকর ভয়ংকর বিস্ফোরণ হচ্ছে। আর মমতা ব্যানার্জি ব্যাপারে চুপ আছেন। দুর্ভাগ্যের বিষয়। পশ্চিম বাংলার মানুষ বাংলায় মরে যাচ্ছে। বাংলার বাইরে কাজ করতে গেলে সেখানেও এক্সিডেন্টে মারা যাচ্ছে। বাংলার মানুষ কি এই ধরনের অপহাতে মৃত্যু লিখে নিয়ে এসেছিল ভগবানের কাছ থেকে। এর জন্য সম্পূর্ণ দায় মমতা ব্যানার্জি। ছাত্রসংগঠন গর্বের মতো আছে তো। যে ছাত্র সংগঠনের নেত্রী তার পার্টির কর্মীদের কাছে ধর্ষিতা হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয় সুরক্ষিত নয় আমি কিছু বুঝিনা তিনি নিজেই ফেসবুক লাইফ থেকে কমপ্লেন করছে ট্রেনে একসঙ্গে আসছেন মহিলা কর্মীদের উপর পুরুষেরা আক্রমণ করছে। কালচার তৈরি করেছেন মমতা ব্যানার্জি তার উদাহরণ যাদবপুর। সেই প্রাচীন পদ্ধতিতে র‍্যাগিং এখনো বন্ধ হয়নি। সবথেকে আধুনিক, সব থেকে মেধাবী ছাত্ররা যেখানে পড়ে সেই যাদবপুরে। এর থেকে দুর্ভাগ্য, লজ্জা কি হবে আর। যাদবপুরে উপাচার্য হওয়ার পরে সবকিছু পাল্টে দিবে এমন কোন করন নেই। সরকার সহযোগিতা করবে না। কে যাচ্ছে কে আসছে জানে না। পুলিশ ঢুকবে না। সেখানে ছদ্মবেশে, সেনার বেশে ঢুকে গিয়ে সমস্ত প্রমাণ নষ্ট করেছে কিছু লোক। একটা গুরুত্বপূর্ণ সিন্সেটিভ জায়গাতে দেশবিরোধী সমাজ বিরোধী ক্রিয়া-কলাপ চলছে। কি করে সম্ভব হচ্ছে এখানে কি সরকার নেই এটা সরকারের দায়িত্ব নয় হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে মৃত্যুর হাতে ছেড়ে দিয়েছে ওরা এটা মমতা ব্যানার্জিকে স্টেপ নিতে হবে উনি বড় বড় কথা বলেন একটা কিছু করার অনুরোধ উনার নেই একটা লাথি চালাতে পারেন না একটা এফ আই আর নেন না। সারা দেশ থেকে দুষ্কৃতিকারীরা আসে বিদেশ থেকে উগ্রপন্থীরা আসে। এখানকার ভালো ছাত্র-ছাত্রীরা গিয়ে ওখানে দুষ্কৃতিকারী হয়ে যাচ্ছে। এর সমস্ত দায়িত্ব মমতা ব্যানার্জির। নির্বাচিত হয়েছেন বলে মাথা কিনে নিয়েছেন নাকি? যা ইচ্ছে করবেন। আইনশৃঙ্খলা নেই, পড়াশোনার পরিবেশ নেই, স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা নেই। বাকি যে মানুষের জীবনে শান্তি আসবে খেলা, ধুলো, নাটক, চর্চা, সিনেমা তারও বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। এটাই তো মমতা ব্যানার্জির দান। ১২ বছরে যদি এই হয় তাহলে দু চার বছর আরো থাকলে পশ্চিমবঙ্গ শ্মশান ভূমি হয়ে যাবে। উনি ভয় পাচ্ছেন ডিসেম্বরে করবে না জানুয়ারিতে করবে উনার কি করার আছে অন্ধের কি বা দিন কিবা রাত্রি উনি লড়তে পারবেন কিনা ঠিক করুন যিনি নিজের পার্টি বাঁচিয়ে রাখতে পারছেন না। পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাতে পারছেন না। উনি আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন লজ্জা করা উচিত। এই ধরনের মুখ্যমন্ত্রী যে নিজের ঘর সামলাতে পারেন না লোককে খেতে দিতে পারেন না দিয়ে দিতে পারেন না সরকার কালকে কি করে চলবে তার ঠিক নেই তিনি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী হতে। যে হেলে ধরতে পারে না সে কেউটে ধরতে যাচ্ছে। যে হোক নেতা হোক মন্ত্রী হোক কোন দলের লোক হোক সে পুলিশ হোক সরকারি কর্মচারী হোক দালাল হোক যারা অন্যায় করবে তাকে আইনের সামনে যেতে হবে। আর এটা সরকারের করা উচিত। আজ সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরে বগুড়া এলাকায় চা চক্র করে এমনটাই বলেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন, Train: কাটোয়া-ব্যান্ডেল শাখায় বন্ধ ট্রেন চলাচল, চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *