Bajaj Finance : বাজাজ ফিন্যান্সের লোন দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকার ‘প্রতারণা’, অভিযুক্তের তৃণমূল যোগ? – tmcp leader of uttar 24 parganas allegedly arrested for forgery


ভুয়ো কল সেন্টার খুলে বাজাজ ফািন্যান্স থেকে লোন দেওয়ার নাম করে গ্রাহকদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগানর বনগাঁয়। ধৃতদের নাম অভিজিৎ সাহা ও মৌমিতা দাস হাজরা।

জানা গিয়েছে, বনগাঁ থানার প্রতাপগড় এলাকার ব্যবসায়ীর কাছে লোন দেওয়ার নামে ফোন এসেছিল গত ৬ জুন। প্রসেসিং ফি বাবদ তাঁর কাছ থেকে কিছু টাকা চাওয়া হয়। কথা মতো প্রসেসিং ফি বাবদ ২৮ হাজার টাকা দেন ওই ব্যবসায়ী ৷ কিন্তু প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে গত ৫ অগাস্ট সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

Naihati News : ‘টার্গেট’ স্থানীয়রা, অভিনব কায়দায় কোটি কোটি টাকা প্রতারণা! জালে নৈহাটির দম্পতির
নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। গতরাতে প্রথমে মধ্যমগ্রামে তল্লাশি চালানো হয়। সেই সময় মৌমিতা দাস হাজরা নামে এক টেলিকলারকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ওই যুবক অভিজিৎ সাহার নাম উঠে আসে। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত যুবক টিএমসিপি-র সদস্য বলে অভিযোগ। যদিও এই প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানান, এমন কেউ সংগঠনে আছে বলে জানা নেই।

আরও অনেকের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ

অভিযোগ, ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণা করেছে সুজয় ও মৌমিতা। সাইবার ক্রাইম থানা সূত্রে খবর, প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Cyber Crime : ঢাল মেয়ের অ্যাকাউন্ট, বাবা সাইবার প্রতারক!
নৈহাটিতেও প্রতারণা
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে বড়সড় আর্থিক প্রতারণার হদিশ পাওয়া যায় উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। কোটি কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে নৈহাটি অরবিন্দপল্লী এলাকার এক দম্পতিকে গ্রেফতার করে নৈহাটি থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম বিশ্বজিৎ মজুমদার ও সোমাশ্রী লাহিড়ি মজুমদার। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোটা অর্থ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নৈহাটি এলাকার বহু মানুষের টাকা তুলেছে ওই দম্পতি। সব মিলিয়ে অঙ্কটা কয়েক কোটি টাকা। অভিযোগ, টাকা ফেরত না দিতে পেরে গত ২০ মে ২০২৩ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই দম্পতি।

ঘটনায় নৈহাটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিতরা। শুরু হয় তদন্ত। কিন্তু প্রায় তিন মাস বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও ওই দম্পতির কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে নৈহাটি থানার পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *