রাজার শহর কোচবিহার। এই শহরের কেশব রোডে রয়েছে বিশাল এলাকা জুড়ে কোচবিহার রাজপ্রাসাদ। এছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রাজ আমলের প্রচুর বিল্ডিং। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কোচবিহার শহরকে হেরিটেজ শহর ঘোষনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। গোটা শহর সাজানোর কাজ চলছে। বছর দশেক আগে হরিশপাল চৌপথিতে একটি ঘড়ি ঘর বানানো হয়।
বর্তমানে ওই ঘড়িগুলো বিকল। তাই সেখানে লন্ডনের ক্লক টাওয়ারের আদলে ক্লক টাওয়ার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ঘড়ি ঘরটি রয়েছে সেটি দুর্বল। তাছাড়া খারাপ হয়ে যাওয়া ঘড়ি ঠিক করে লাগাতে ৩২ লাখ টাকা লাগবে। তাই নতুন করে সেখানে ক্লক টাওয়ার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এতে এলাকার সৌন্দর্য যেমন বাড়বে। পাশাপাশি হেরিটেজের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওই কাজ করা হলে শহরে ঘুরতে আসা পর্টকদেরও ভালো লাগবে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় লন্ডনের সেই ক্লক টাওয়ারের ছবি পোস্ট করেছেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। পাশাপাশি নকশার বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের কাছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, ‘খুব শীঘ্রই ডিজাইন ফাইনাল করে কাজ শুরু করা হবে।’ এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমার বাড়ির পাশেই দুই পা হেঁটে গেলেই এই ক্লক টাওয়ার বসতে চলেছে। ভেবেই গর্ব হচ্ছে। এর আগে কলকাতাতে গিয়ে ক্লক টাওয়ার দেখেছি। এবার আমাদের কোচবিহারেও সেই ক্লক টাওয়ার হতে চলেছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে এই বছরের এপ্রিল মাসে কার্শিয়ঙ পেয়েছে নতুন ক্লক টাওয়ার। এটি একটি পুরনো সুলভ শৌচাগার ছিল। যেটিকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়ে নতুন ভাবে এই ক্লক টাওয়ার গড়া হয় বলে জানা যায়। দার্জিলিংয়ের ক্লক টাওয়ার দেখতে যেমন পর্যটকদের ভিড় জমে, ঠিক সেভাবে কার্শিয়ঙ ক্লক টাওয়ার দেখতেও ভিড় জমছে পর্যটকদের।