রাকেশ রোশনকে চাঁদে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। নজরুল ইসলামকে দিয়ে মহাভারত লিখে নিচ্ছেন। আমার মনে হয় রাহুল গান্ধীকে নিয়ে আমাদের এবার চিন্তা করতে হবে না। দিদি যথেষ্ট আনন্দ দেওয়া সামগ্রী আমাদের কাছে পরিবেশন করছেন’। রাজ্যে বিস্ফোরণ নিয়ে দিলীপ বলেন, ‘নিরাপত্তা জিনিসটা অনেকদিন আগে বাংলা থেকে উঠে গিয়েছে। জীবনের সুরক্ষা নেই, সম্পত্তি, দোকান, মহিলাদের সুরক্ষা নেই। পুরোপুরি কোলাপস হয়ে গিয়েছে এখানকার আইন কানুন।
মাননীয়া ভাষণ দিয়ে, গালাগালি দিয়ে নিজের দায়িত্ব শেষ করছেন। সাধারণ মানুষের দিনের পর দিন যে ভয়াবহ অবস্থা হচ্ছে এই ঘটনাগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রেপ, মার্ডার নিয়মিত বাড়ছে’। সম্প্রতি মেসেজ বিতর্ক নিয়ে দিলীপ বলেন, ‘কী করবেন মেসেজ এসেছে তো! উনি কি এবারে বাঁচাতে পারবেন যদি গ্রেফতার করে? হয়তো সময় ঘনিয়ে এসেছে। উনি ভাবছেন পাপের ঘড়া ভরে গিয়েছে। শুধু অভিষেক একা কেন অনেককেই ভিতরে যেতে হবে। সেটা উনি প্রত্যক্ষভাবে বুঝতে পারছেন।
আমার মনে হয় এই বছর শেষ হতে হতে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে’। বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোটকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘অনেক কিছু করে দিচ্ছে, চন্দ্রযান পাঠিয়ে দিচ্ছে। গ্যাসের দাম কমিয়ে দিচ্ছে, বন্দে ভারত শুরু করে দিল। লজ্জা করা উচিত। সারা ভারতবর্ষে তিনবার পেট্রোলের দাম কমেছে। মোদীজি পেট্রোলের দাম কমিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পেট্রোলের দাম কমাননি। দিদি যদি এখানে পেট্রোলের দাম কমান তাহলে আমরা ৯০ টাকার নিচে পেট্রোল পাব।
একবার হিম্মত থাকলে পেট্রোলের দাম কমিয়ে দেখান। মিথ্যে কথা বলে নিজের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করবেন না’। সব শেষে তিনি বলেন, ‘ওনাদের দলের একটা পরম্পরা আছে। তারা জেলে যান। বিদেশ যান না। কেষ্ট গিয়েছেন পার্থবাবু গিয়েছেন। এবার ওনার সময় এসে গিয়েছে। আমরা বলছি যদি আপনি চুরি না করে থাকেন। ফেস করুন, সত্য বলুন। আর যারা করেছে তাঁদের ধরিয়ে দিন। আর যদি অন্যথা হয় তাহলে আপনাকেও কেষ্ট বাবুদের কাছে গিয়ে থাকতে হবে’।