নম্বর বাড়ার পরও চাকরি না পেয়ে হন্যে হয়ে ঘুরছেন চাকরিপ্রার্থী। তাতেও কেন দেওয়া হচ্ছে না চাকরি সেই নিয়েই মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে। ২০১৪ টেটে পাশ না করতে পেরে, আরটিআই করেন মামলাকারী আমনা পারভিন। জানতে পারেন, সেই পরীক্ষায় ছয়টি প্রশ্ন ভুল ছিল। কলকাতা হাইকোর্টে ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত মামলা দায়ের হলে, সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় ৬ নম্বর দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। পরীক্ষায় পাশ করলে দিতে হবে চাকরিও। সেই মতো ৬ নম্বর যোগের পর আমনার মোট নম্বর দাঁড়ায় ৮২। টেট পাসের জন্য পাস মার্ক ছিস ৮২। ফলে নম্বর সংযোজনের পর টেট উত্তীর্ণ হিসেবে স্বীকৃতি পান পরভিন। তবুও প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে চাকরি পাননি তিনি। তাই ফের আমনা পরভিন দ্বারস্থ হন আদালতের।
আমনা পারভিনের মামলার শুনানিতে ১৭ জুলাই পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যে এক সপ্তাহের মধ্যে ওই প্রার্থীর আবারও অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং ইন্টারভিউ নিতে হবে এবং পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। সেদিনের পর এদিন শুনানিতে বোর্ডের আইনজীবী জানান, চাকরিপ্রার্থীর চাকরি পাওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই। এই শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রার্থীর ইন্টারভিউ ও অ্যাপ্টিটিউট টেস্টের ভিডিয়ো ফুটেজ দেখতে চান। ৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন পর্ষদকে আমনা পরভিনের অ্যাপ্টটিউড ও ইন্টারভিউয়ের ভিডিয়োগ্রাফি আদালতে পেশ করতে হবে।