বুধবার কলকাতা থেকে একটি গাড়িতে করে দুর্গাপুর যাচ্ছিলেন কোচ ও দলের কর্মকর্তারা। গুড়াপের কাছে তাঁদের গাড়ির চাকা ফেটে গেলে দ্রুতগতিতে ছুটতে থাকা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। এরপরেই একটি ট্রেলারের পেছনে গিয়ে ধাক্কা মারে গাড়িটি। তাতেই কোচ কর্মকর্তারা আহত হন।
তাঁদের মধ্যে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের উদ্ধার করে বর্ধমানের নবাবহাট এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘সামনের দোকান থেকে হঠাৎ জোর আওয়াজ পাই। বুঝতে পারি যে কোনও গাড়ির চাকার টায়ার ফেটে গিয়েছে। তারপরেই দেখি লোকজন সব ছুটে যাচ্ছেন। আমরাও যাই। গিয়ে দেখি একটি চার চাকা গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আহতদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়।’
ক্লাব সূত্রে খবর, একই গাড়িতে করে তিন জন দুর্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। গাড়ির সামনের আসনে বসেছিলেন প্রণববাবু। পিছনের আসনে রঞ্জন এবং সৌরভ ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রণববাবু সবচেয়ে বেশি চোট পান। ঘটনার অভিঘাতে তাঁর মাথা ফেটে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি জ্ঞান হারান বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তবে এখন প্রত্যেকেই স্থিতিশীল আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে আরও খবর, মাথায় গুরুতর চোট রয়েছে কি না তা জানতে প্রণব বাবুর সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। কিন্তু অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বাকি ২ জন কেও। তবে ক্লাব সূত্রে জানানো হয়েছে, কেউই এই মুহূর্তে দুর্গাপুর যাননি খেলা দেখতে।
প্রত্যেকেই কলকাতায় ফিরে যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, গত জুন মাসেই গুড়াপের এই একই জায়গায় এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ গ্যাস কাটার দিয়ে গাড়িটির একাধিক অংশ কেটে গাড়ি থেকে তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে। তারপরেই তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই ওই তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।