জনপ্রিয় গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে এই সময় ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হলে সেনকোর তরফে জানানো হয়, ‘ভয়াবহ ঘটনা। পুরুলিয়া ও রাণাঘাটে আমাদের দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি শোরুমে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। প্রশাসনের সঙ্গে আমরাও যোগাযোগ রাখছি। দুষ্কৃতীরা শীঘ্রই ধরা পড়বে বলে আমাদের আশা।’ এখানেই শেষ নন, সংস্থার তরফে মুখপাত্র জানান, ‘এই ঘটনার পরও সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বস্তির এটাই যে আমাদের সব কর্মীরা সুরক্ষিত এবং সুস্থ আছেন।’
মঙ্গলবার দুপুরে পুরুলিয়া ও রাণাঘাটে সেনকোর শোরুমে আচমকা হামলা চালায় ডাকাত দল। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে, নিরাপত্তারক্ষীদের বেঁধে মারধর করে চলে দোকানের ভিতর লুঠপাট। মারধর করা হয় কর্মীদেরও বলে অভিযোগ। গয়না বার করতে দেরি হওয়ায় রাণাঘাটের শোরুমে এক কর্মীর মাথায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করা হয়। এমনকী মহিলা কর্মচারীদের হাত থেকে মোবাইলও কেড়ে নেওয়া বলে অভিযোগ। দোকানের মধ্যে রীতিমতো গানপয়েন্টে রেখে কর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়। প্রায় কুড়ি মিনিট থেকে আধ ঘণ্টা ধরে চলে লুঠপাট। বাধা দিতে গিয়েই প্রহৃত হন কর্মীরা। দোকানের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ বজায় রাখতে দুষ্কৃতীরা মাঝে মধ্যেই গুলি চালাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, দুই শোরুম থেকে প্রায় পাঁচ ছয় কোটি টাকা থেকে আট কোটি টাকার মতো সোনা, হিরে ও অন্যান্য ধাতব গয়না লুঠ করে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই শোরুম থেকেই একই কায়দায় ক্যাশ থেকেও লুঠ করা হয় প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা করে নগদ। রাণাঘাটের শোরুমের ডাকাতি চলাকালীন পুলিশ পৌঁছে যাওয়ায় দোকানে থাকা ১৬ কেজি গয়নার মধ্যে আট কেজি গয়না ও টাকা নিয়েই চম্পট দেয়।
তড়িঘড়ি পালানোর সময় লাগাতার প্রায় চার রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাও ধাওয়া করে চার দুষ্কৃতী ও পরে পঞ্চম দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি পলাতক দুষ্কৃতীদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। উদ্ধার হয়েছে টাকা ও গয়না ভর্তি একটি ব্যাগ। তবে পুরুলিয়ার ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। দুই ঘটনার পিছনে একই গ্যাং কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।