এদিন পুলিশ আসার পরেই সবাই সব ঘটনা জানতে পারেন। সেই সঙ্গে বাড়ির মালিক গোপাল শেঠকে আটক করা হয়। এই বিষয়ে ওই বাড়ির এক ভাড়াটে বলেছেন, ‘বেশ কয়েক দিন ধরে এদের থাকতে দেখছিলাম। তবে কারও সঙ্গে কখনও কথা হয়নি। ওরা বাইরের কারও সঙ্গে কথা বলত না। একেকদিন ৭ থেকে ৮ জনকে দেখেছি। তবে ভাবতে পারিনি এরা ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। আজ পুলিশ এসে সব কিছু বলাতে জানতে পারলাম’। উল্লেখ্য, রানাঘাটের ঘটনায় সাত জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ।
কিন্তু পুরুলিয়ার ঘটনায় এখনও দুষ্কৃতীদের নাগাল পায়নি পুলিশ। জানা গিয়েছে, পুরুলিয়াতে ডাকাতির দুদিন আগে দুষ্কৃতীরা এসে শোরুমে ঘুরে গিয়েছিল। ডাকাতির দিনেও আগেই এসেছিল দুজন গয়না কেনার অছিলায়। আর তারপর ৭ জন মিলে একসঙ্গে ডাকাতি করে। এদের খোঁজ না পাওয়া গেলেও CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত এগোনো হচ্ছে। সেই সঙ্গে রানাঘাটে ধরা পড়া ডাকাতদের থেকে পুরুলিয়ার ডাকাতদের নিয়ে কী কী তথ্য পাওয়া যায়, সেই তদন্তও চলছে। পুরুলিয়ার ওই শোরুম থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকার গহনা নিয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
রানাঘাটের মতোই পুরুলিয়ারও এই এলাকার কাছে পিঠে কোথাও ঘাঁটি গেড়েছিল ডাকাতদল। সেই কারণে পুরুলিয়া শহর ও আশেপাশের এলাকাতে কোথায় কোথায় বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়, সেই নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত পাঁচজনেরই বাড়ি বিহারের বৈশালী জেলায়। কল্যাণীতে বাড়ি ভাড়া নিয়েই রানাঘাটে রেইকি করেছিল দলটি। পুরুলিয়ার ডাকাতদের ধরার জন্য রানাঘাট থেকে ধৃত ডাকাতদের কড়া জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।