WBCS Result 2023 : বেলপাহাড়ির প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলে পড়ে WBCS অফিসার, সাফল্যের সিক্রেট ফাঁস মণীষার – jhargram manisha mandi qualify in wbcs examination shares her success secret


একসময় মাওবাদী আতঙ্কে পড়াশোনা ডকে উঠেছিল এলাকায়। কিন্তু, সেই দুঃসময় পিছনে ঠেলে এগিয়ে যাওয়াই লড়াই ছিল ঝাড়গ্রামের আদিবাসী পরিবারের মেয়ে মণীষা মাণ্ডির। অবশেষে ‘যুদ্ধ জয়’। WBCS পরীক্ষায় সফল হলেন এই কন্যা।

তাঁর এই সাফল্যে গ্রামের বাসিন্দারা খুশিতে আত্মহারা। লড়াইটা ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ব্লকের হাতিডোবা গ্রামের বাসিন্দা মণীষা মাণ্ডির। তিনি চলতি WBCS পরীক্ষায় ‘এ’ গ্রেড পেয়ে পাশ করেছেন। একই সঙ্গে ২১৯ স্থান অধিকার করেছেন তিনি। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ রেভেনিউ পদে যোগদান করবেন মণীষা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই এলাকা থেকে প্রথম কেউ WBCS পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

WBCS Success Story : আর্থিক অনটন নিয়েই বিসিএসে চমক প্রত্যন্ত এলাকার রোকাইয়া, সাফল্যের মন্ত্র কী জানেন?
এদিন মণীষা বলেন, ” পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরির জন্য লাগাতার চেষ্টা করে গিয়েছি। ছোট থেকেই নজর ছিল সিভিল সার্ভিসের দিকে। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, ” বাবা ও মা সব সময় পাশে থেকেছেন। একইসঙ্গে আমার বড় সমর্থক ছিলেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাঁরা যে ভাবে আমার পাশে থেকে লড়াইটা চালিয়ে গিয়েছেন তা ভোলার নয়। আমি চাই প্রত্যন্ত এলাকার ছেলে মেয়েরা আরও এগিয়ে আসুক। চেষ্টা করলেই সাফল্য আসবে।”

Success Story: দারিদ্রতাকে জয় করে UPSC-তে সাফল্য, মাত্র 21 বছরে IAS অফিসার অটোচালকের ছেলে
প্রসঙ্গত, মণীষা ছোট থেকেই মেধাবী। ঝাড়গ্রাম রানি বিনোদ মঞ্জরী রাষ্ট্রীয় বিদ্যালয় থেকে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর মেদিনীপুর কলেজ থেকে রসায়নে স্নাতক পাশ করেন। ২০১৮ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করার পর এই তরুণীর নজর ছিল সিভিল সার্ভিস। চাকরির পরীক্ষা দিতে শুরু করেন তিনি।

কী ভাবে এই কাঙ্খিত সাফল্য পেলেন তিনি?
এই প্রসঙ্গে মণীষা জানান, দিনে প্রায় ১২ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন তিনি। আর এই অধ্যাবসাই তাঁকে সাফল্য এনে দিয়েছে। একইসঙ্গে তিনি আরও চারটি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে আপাতত WBCS অফিসার হিসেবেই কর্মরত থাকতে চান তিনি।

Government Jobs : চাকরিপ্রার্থী তরুণ-তরুণীদের জন্য দারুণ সুযোগ! এবার কোচিং দেবে পুলিশ, রইল যোগাযোগের নম্বর
মণীষার বাবা জিতেন্দ্রনাথ মাণ্ডি বলেন, “ছোট থেকে অনেক পরিশ্রম করেছে ও। আগামীদিনে আমার মেয়ের সাফল্যে গ্রামের অন্যান্য মেয়েরাও নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাবে। আমাকে কর্মসূত্রে ঝাড়গ্রামে থাকতে হয়েছে। মেয়ে এখানে থেকেই পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে।”

গত পরীক্ষাতে গ্রুপ সি গ্রেড পান মণীষা। এই বছর তাঁর এ গ্রেড পাওয়া নিয়ে খুশি পরিবার। রানি বিনোদ মঞ্জরী রাষ্ট্রীয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পুষ্পলতা বারুই মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওর সাফল্যে গোটা স্কুল গর্বিত। ছাত্রীরা যখন শিক্ষকদের ছাপিয়ে যায় তা আলাদা একটা প্রাপ্তি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *