রায়দান নিয়ে কী জানালেন সুতপার মা?
তবে শত কষ্টের মধ্যেও সুতপার মা জানান, ওই ছেলেকে ফাঁসি দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু আমার মেয়ে যেভাবে কষ্ট পেয়ে মরেছে, সেই কষ্ট তো ও আর পেল না। ওকে পাবলিকের হাতে তুলে দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে ও সঠিক শাস্তি পেত। বলতে বলতেই ফের ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন তিনি। ফাঁসির সাজা ঘোষণা মায়ের মনে ক্ষতে কিছুটা হলেও হয়তো প্রলেপ লাগাতে পেরেছে, কিন্তু মেয়ের মুখটা ভেসে ওঠে প্রতি মুহূর্তেই। সেই বেদনা বুকে চেপে রেখে কাটাতে হবে বাকি জীবনটা।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী মত?
তবে, পুলিশের তদন্তের ভূমিকায় সন্তুষ্ট তিনি। অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েদের উপর এরকম অত্যাচার বা হত্যাকাণ্ড হয়, কিন্তু তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এত দ্রুত বিচার অনেক সময় পান না। ঘটনার এক বছর ঘুরতেই মেয়ের মৃত্যুর বিচার পেলেন তিনি। তিনি জানান, পুলিশের কাজের উপর আমার ভরসা ছিল। ওদের কাজে আমি সন্তুষ্ট। আদালতের কাজের উপরেও আমি যথেষ্ট সন্তুষ্ট।
পরিবারের লোকজন কী বলছেন?
বহরমপুরের কলেজছাত্রী খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা দেওয়া হল অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে। কার্যত এই রায়দানের পর মৃত সুতপা চৌধুরী পরিবারের লোকেরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন। তাঁরা বলছেন, এবারে তাদের মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে। তবে মেয়ের এই মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সকলেই। আজও বাড়ির আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রাণবন্ত কলেজ ছাত্রী সুতপার স্মৃতি চিহ্ন।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?
উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালের ২ মে বহরমপুরের জনবহুল গোরাবাজারে সন্ধ্যাবেলায় সকলের সামনে খুন করা হয় সুতপাকে। তাঁর স্বঘোষিত প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর হাতে খুন হতে হয় কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে। সুশান্তর সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টেনেছিলেন সুতপা। এর পরেও তাঁকে বিরক্ত করা হতো বলে দাবি করা হয়।
এরপর মালদার বাসিন্দা সুতপাকে অভিযুক্ত সুশান্তর হাত থেকে বাঁচাতে বহরমপুর কলেজে ভর্তি করেছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কলেজের কাচ মেসে থেকে পড়াশুনো করতেন তিনি। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে মেসে ফেরার সময় মেসের গেটের সামনে তাঁর ওপর হামলা চালায় সুশান্ত। এই ঘটনার ১৫ মাসের মধ্যে আজকে রায়দান করল আদালত।