সোনার দেবীমূর্তি বিক্রির নামে সুন্দরবনে প্রতারণার ফাঁদ, অস্ত্র সহ ধৃত লুঠেরা গ্যাংয়ের পাণ্ডা


Sundarban অঞ্চলের মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন চলত সোনার মূর্তি বিক্রির নামে প্রতারণার ছক। প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থেকে গ্রেফতার এই চক্রের মূল পাণ্ডা। চক্রের বাকি সদস্যের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

Sundarban Tour : সুন্দরবন ভ্রমণে যাচ্ছেন? ঝড়খালি পার্কে থাকছে বিশেষ আকর্ষণ
জানা গিয়েছে, সোশাল মিডিযায় প্রলোভন দেখিয়ে সোনার ঠাকুরের মূর্তি বিক্রির নামে গ্রাহকদের লুঠ করে নেওয়া হত। এরকমই এই প্রতারণা চক্রের হদিশ মেলে কুলতুলিতে। নাটকীয় কায়দায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার এই চক্রের মূল পাণ্ডা। সাগরেদরা পালিয়ে গেলেও তাদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
সুন্দরবন অঞ্চল মূলত পর্যটনের (Sundarban Tour) উপর নির্ভরশীল। এর পাশাপাশি এখনকার বেশিরভাগ বাসিন্দারা মৎসজীবি। মাছ ধরার কারণে তাদের মাঝেমধ্যেই বাঘের হামলার মুখে পড়তে হয়। সেই হামলা থেকে বাঁচতে তারা ঠাকুরকে প্রতিনিয়ত স্মরণ করেন। তাঁদের সেই বিশ্বাসকে পুঁজি করেই সোশাল মিডিযায় মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি করে তাঁদের সোনার ঠাকুর বিক্রি করার প্রলোভন দেখানো হত।

Sundarban Royal Bengal Tiger : ভারতের রয়্যাল বেঙ্গলই মান রাখবে বাংলাদেশের
তাঁদের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য ঠাকুরের মূর্তির একটি ছোট অংশ তাঁদেরকে দেওয়া হত। যা সোনার হতো। সেই অংশ তাঁরা কোনও সোনার দোকানে গিয়ে দেখিয়ে পরীক্ষা করালে তাঁদের আরও বিশ্বাস জন্মাতো। সেই সুযোগ নিয়েই মোটা টাকায় সোনার ঠাকুর বিক্রির প্রলোভন দেওয়া হত। বিশ্বাস জন্মে যাওযায় নিজের সর্বস্ব দিয়ে অনেকেই এই ঠাকুর কিনতে রাজি হতেন।

Sundarban : মণিপুরের ক্ষোভের আঁচ সুন্দরবনেও! নারী নিগ্রহের ঘটনায় নদীবক্ষে প্রতিবাদ আদিবাসী মহিলাদের
তারপর নির্দিষ্ট জায়গায় যখন তাঁরা প্রতিমা নেওয়ার জন্য হাজির হতেন তখন তাদের সর্বস্ব লুঠ করে পালিয়ে যেত দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের আগে এই ধরণের প্রতারণা চক্রের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছিল এই এলাকায়। তখন পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই চক্রে জড়িত থাকায় মোট ২৮ জনকে গ্রেফতার করে।
তারপর এই প্রতারণা চক্র কিছুদিন বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। এই বিষয়ে কুলতুলি থানায় একাধিক অভিযোগও দায়ের হয়েছে। এই প্রতারণা চক্রকে ধরতে কুলতুলি থানার আইসি অর্ধেন্দু শেখর দে সরকারের নেতৃত্বে একটি ফাঁদ তৈরি করা হয়। কাস্টমার সেজে ঠাকুর কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী বুধবার দুপুরে জামতলা মোড়ে দেখা করার সময় স্থির হয়।

CV Ananda Bose : ‘সুন্দরবনের দুর্দশার কথা কেউ শোনে না’, শুনলেন রাজ্যপাল

বাইকে ধাওয়া করে কুলতুলি থানার পিসি ইনচার্জ এক অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। তার নাম তালিমুল। ধৃত এই চক্রের মুল পাণ্ডা বলে জানা গিয়েছে। তার কাছ থেকে একটি ওয়ান সাটার, লাইভ কার্তুজ, একটি বাইক ও দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
বারুইপুর পুলিশ জেলার এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, এই ঘটনায় একটি বড় চক্র রয়েছে। তাঁরা ঘটনার তদন্ত করছেন। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এলাকায় এই প্রতারণা চক্র ফের সক্রিয় হওযায় পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন কুলতুলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মণ্ডল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *