কলকাতায় ‘পুষ্পা গ্যাং’?
আল্লু অর্জুন অভিনীত ছবির সঙ্গে মিল না থাকলে বুধবার কলকাতা বিমান বন্দরে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের লাল চন্দনকাঠ ও প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রীসহ ধরা পড়ে তিনজন। তাদের থেকে মোট ২১৬ কেজি ওজনের চন্দনকাঠ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত তিনজনের নাম মহম্মদ ইরশাদ শাহিদ, হুসেন আরিফ ও ইমরান হোসেন। ধৃতদের প্রত্যেকেই কলকাতার খিদিরপুর এলাকার বাসিন্দা। ধৃতদের প্রত্যেকেরই বিলাসবহুল আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণ সংস্থার বিমানে কলকাতা বিমানবন্দরে থেকে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।
কী ভাবে ধরা পড়ল তিনজন?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা লাগেজ নিয়ে বিমানবন্দরে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকা সিআইএসএফ আধিকারিকরা তাদের ব্যাগ পরীক্ষা করতেই সেখান থেকে চন্দনকাঠ ও অন্যান্য সামগ্রীগুলি উদ্ধার হয়। এরপরই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারোপোর্টের দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিকরা তাদের গ্রেফতার করেন। এই ঘটনায় একজন এয়ারলাইন স্টাফকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যাগ পরীক্ষা না করে পাচারকারীদের বিমানবন্দরের ভিতরে যাওয়ার অনুমতি সে দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই গ্রেফতারি নিয়ে কী বলছে বিধাননগর পুলিশ?
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের এয়ারপোর্ট ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার বিশপ সরকার বলেন, ‘সোর্স মারফত আমাদের কাছে খবর এসেছিল যে কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে একটি গ্যাং কলকাতায় বাইরে বিভিন্ন সামগ্রী পাচারের পরিকল্পনা করেছে। কলকাতা থেকে দিল্লি হয়ে তাদের হংকং যাওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী বিমানবন্দরের বিভিন্ন অংশে আমাদের পুলিশকর্মীরা নজর রাখছিলেন। ১৬টি চন্দনকাঠের গুঁড়ি ও প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। ধৃতরা উপযুক্ত কোনও নথি দিতে না পারেনি। তাই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের পাসপোর্টে একাধিক ভিসা স্ট্যাম্প রয়েছে।’ পুলিশের অনুমান এই ঘটনার সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক পাচারচক্রের যোগ থাকতে পারে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।