জমি নিয়ে সমস্যা
বুধবার দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশন পরিদর্শন করেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি। একইসঙ্গে ব্যারাকপুরে করিডোরের মেট্রো প্রকল্পের খোঁজখবরও নেন তিনি। তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ওই লাইনে কাজ এগনোর ক্ষেত্রে জায়গা নিয়ে তৈরি হয়েছে সমস্যা। এই বিষয়ে মেট্রো রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র বলেন, ‘ওই জায়গায় একটা পাইপ লাইনের কাজ ছিল, সেটা আমরা করে দিয়েছি। তারপরেও জায়গাটা আমরা পাচ্ছি না। জায়গাটা না পেলে পেলে আমরা এগোতে পারছি না।’ অর্থাৎ এককথায় বলতে গেলে জমি সংক্রান্ত সমস্যার কারণেই ওই রুটে মেট্রোর কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান কৌশিকবাবু। যদিও জমি-জট কাটিয়ে ফেলার চেষ্টায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ। সমস্যা মিটলেই কাজ এগোবে ওই করিডোরে।
প্রস্তাবিত স্টেশনগুলি কী কী?
মেট্রোর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বরানগর-ব্যারাকপুর পিঙ্ক লাইনটি মোট সাড়ে বারো কিলোমিটারের। বরানগর থেকে শুরু হওয়ার পর, এই লাইনের প্রস্তাবিত স্টেশনগুলি হল কৃষ্ণকলি (কামারহাটি), আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র (আগরপাড়া). গান্ধী আশ্রম (সোদপুর), শরৎচন্দ্র (পানিহাটি), সুভাষ নগর, ঋষি বঙ্কিম (খড়দা), ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ (টাটা গেট), শাহ নওয়াজ খান (টিটাগড়), অনুকূল ঠাকুর (তালপুকুর) এবং মঙ্গল পান্ডে (ব্যারাকপুর)।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এক প্রতিবেদনে এই সময় ডিজিটাল তুলে ধরেছিল ব্যারাকপুর এবং বারুইপুর রুটের মেট্রো করিডোরের বিষয়টি। সেই সময়ই কৌশিক মিত্র জানান, ভবিষ্যতে ব্যারাকপুর ও বারুইপুর পর্যন্ত মেট্রো চালানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে। তবে সেগুলি অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে আছে। তার মধ্যে রয়েছে জমি এবং অর্থের মতো বিষয়গুলিও। আর এবার ব্যারকপুর রুটে মেট্রো প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সেই জমির সমস্যার বিষয়টিই উঠে এল। এক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে ব্যারাকপুর, টিটাগড়, খড়দা, সোদপুর প্রভৃতি অঞ্চল থেকে প্রতিদিনই বহু মানুষ বিভিন্ন কাজে কলকাতায় যাতায়াত করেন। সেই জায়গা থেকে এই মেট্রো প্রকল্প হলে ওই জায়গায় মানুষদের যাতায়াত যে আরও সুবিধাজনক ও আরামদায়ক হয়ে উঠবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।