Mamata Banerjee Abhishek Banerjee : মমতা-অভিষেকের ধর্নায় অনুমতি দিল না শাহের পুলিশ, বিকল্প জায়গা খুঁজছে তৃণমূল – the police under amit shah home ministry did not allow trinamool dharna program led by mamata banerjee abhishek banerjee in delhi


এই সময়: কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচির অনুমতি দিল না অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা পুলিশ। আগামী ২ অক্টোবর, গান্ধী জয়ন্তীর দিন দিল্লিতে এই ধর্না কর্মসূচি হবে বলে ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচি থেকে ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক। বাংলার প্রাপ্য অর্থের দাবিতে রাজ্য থেকে লক্ষাধিক মানুষ এই ধর্নায় অংশগ্রহণ করবে বলেও ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূল সূত্রের খবর, রামলীলা ময়দানে এই ধর্নায় বসার অনুমতি চেয়ে গত ২৩ অগস্ট দিল্লি পুলিশের কাছে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়।

Mohammed Salim : যাদবপুরে ‘গোলি মারো’ নিয়ে বিজেপিকে তোপ সেলিমেরও
এই আবেদনপত্রে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত রামলীলা ময়দানে কর্মসূচির জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। মূল ধর্না ও প্রতিবাদ কর্মসূচি ২ অক্টোবর হবে বলেও আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু দিল্লি পুলিশ ২৮ অগস্ট তৃণমূল নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, রামলীলা ময়দান বুকিং করার জন্য আরও আগে তৃণমূলকে আবেদন করতে হতো। ওই সময়ে বুকিং চেয়ে আগেই অন্য সংগঠনের আবেদনপত্র জমা পড়েছে। তাই তৃণমূলকে অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রার সময়েই অভিষেক ঘোষণা করেছিলেন যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর রাজ্যের প্রাপ্যের দাবিতে ট্রেনে-বাসে করে বাংলার জনতাকে নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে ধর্না কর্মসূচি হবে। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে সেই কর্মসূচির দিন ঘোষণা করা হয়।

Bengal BJP : ১৫ দিনে এক হাজার সভা! ‘টাফ টাস্কে’ ধন্দে বঙ্গ-বিজেপি
দিল্লি পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় বিকল্প ভাবনা শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। জোড়াফুলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বুধবার বলেন, ‘এই ধর্নায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের যাওয়ার কথা ছিল। তাঁদের আটকানোর জন্য ভয় পেয়ে দিল্লি পুলিশ অনুমতি বাতিল করেছে। এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। বিজেপি-ই অনুমতি বাতিল করেছে। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি হবে, তা নেতৃত্ব খুব শীঘ্রই ঘোষণা করবেন।’ পাল্টা রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে যে বিরোধী দলনেতাকে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয় না।

West Bengal Day : ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পয়লা বৈশাখেই, সিলমোহর সিংহভাগের
কোর্টের অনুমতি নিয়ে সভা করতে হয়। অসহিষ্ণুতার রাজনীতি তৃণমূলই করে।’ নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরোধিতা করতে তৃণমূল কেন পুলিশের অনুমতির দিকে তাকিয়ে রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তৃণমূল যদি সত্যিই মোদী সরকারের বিরোধিতা করতে চায়, তা হলে অনুমতির তোয়াক্কা না করেই ওঁরা সভা করবেন। পুলিশ অনুমতি না দেওয়া সত্ত্বেও তো আমরা যাদবপুরে সভা করেছি। তৃণমূলের কি আদৌ দিল্লিতে সমাবেশ করার ক্ষমতা রয়েছে?’

Abhishek Banerjee at TMCP Rally : ৩৮ দিন পর TMCP-র মঞ্চে অভিষেক! ED তল্লাশি থেকে যাদবপুর, ‘সেনাপতি’-র মুখ চেয়ে কর্মীরা
এই খোঁচার জবাবে কুণাল বলেন, ‘এই ভাবে তুলনা করা যায় না। এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য হয়তো অনুমতি দেওয়া হয় না। কিন্তু দিল্লিতে বাংলার স্বার্থে ধর্নার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। সুজনরা বিজেপির হাত শক্ত করছেন। মুম্বইয়ে ওঁরা ইন্ডিয়ার মঞ্চে বসে থাকবেন, অথচ এখানে বিজেপির দালালি করছেন। এই রাজ্যে বিজেপির দুই ভাই, সিপিএম আর কংগ্রেস (আই)।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *