শিলিগুড়ির যানজটের সমস্যা মেটাতে পার্কিং জোন, বাস টার্মিনাস তৈরি সহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা করা হয়েছে পুরসভা ও এসজেডিএ-র তরফে। শহরে বিকল্প রাস্তা তৈরির পাশাপাশি বাস ও টোটো নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনাও করা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পার্কিং জোন চালু হলে সমস্যা কিছু মিটবে বলেই আশা পুরসভার। জানা গিয়েছে, সেভক রোডে টিবি হাসপাতল চত্বর, মিলনপল্লি হাউজিং, কিরণচন্দ্র ভবনের নীচতলায়, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের কাছে, তিস্তা ব্যারেজের কাছে জ্যোতিনগরে, পান্থ নিবাসের নীচে পার্কিং জোন তৈরির জন্য এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে।
রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর হওয়া সত্ত্বেও শিলিগুড়িতে পার্কিং জোনের অভাব দীর্ঘদিনের। একের পর এক নিত্যনতুন দোকানপাট, শপিং মল বা সিনেমা হল তৈরি হলেও পার্কিং জোন তৈরি করা হয়নি। ফলে হিলকার্ট রোড়, সেভক রোডসহ শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় প্রবল যানজটের সমস্যা হয়। রাস্তার উপর সারি সারি বাইক, টোটো বা গাড়ি দাঁড় করে রাখা হয়। এমনকী ফুটপাথের উপরও বাইক-গাড়ি পার্কিং করা হয়। সেই কারণে দিনের পর দিন একদিকে যেমন যানজট বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও। ঝুঁকি নিয়ে মূল রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের।
মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে এই নিয়ে সরব হন বিরোধী কাউন্সিলররা। তারপরই পুরসভার তরফে এই নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘শিলিগুড়ি শহরের যানজট সমস্যা মেটাতে পার্কিংজোন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি একগুচ্ছ পরিকল্পনা করা হয়েছে। আশা করি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে।’
শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের কথায়, ‘যানজট সমস্যা সমাধানে ছ’টি পার্কিং জোন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জায়গাও চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে এই নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। শীঘ্রই এই এলাকাগুলিতে পার্কিং জোন তৈরির পরিকাঠামো শুরু করা হবে। এর পাশাপাশি কিছু রাস্তা তৈরি করা হবে। সম্প্রসারণ করা হবে বেশ কিছু রাস্তা। টোটোর দৌরাত্ম্য নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। আশা করি যানজট সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে।’
