Sorasori Mukhyamantri Number : ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে কালেক্টিভ সমস্যাই বেশি, সময় লাগছে সমাধানে – common people are mainly complaining about collective problems in the sorasori mukhyamantri campaign


সুগত বন্দ্যোপাধ্যায়
ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া নয়, ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচিতে আমজনতা ফোন করে মূলত সমষ্টিগত সমস্যার অভিযোগ বা উন্নয়নের আর্জি জানাচ্ছেন–এমনটাই খবর মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর বা সিএমও সূত্রে। ফোন করে কেউ নিজের এলাকার রাস্তা চাইছেন, কারও দাবি কালভার্ট বা ছোট ব্রিজের, কেউ বা আবার আবেদন করছেন ‘বাংলার বাড়ি’র জন্য। এই প্রকল্পগুলির জন্য শুধু যে বড় অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন, তা-ই নয়, এই কাজগুলি সময়সাপেক্ষও। সেজন্য এই কর্মসূচিতে যে অভিযোগ আসছে, তার অনেকগুলিরই সমাধান হচ্ছে না।

Land and Land Reforms West Bengal : জমির দালালদের খপ্পরে পড়ে পকেট ফাঁকা? এই নম্বরে ফোন করে চান সাহায্য
গত ৮ জুন পঞ্চায়েত ভোটের আগেই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এই ব্যবস্থাটা অনেকটা কলসেন্টারের আদলে। এতদিন চিঠি লিখে, ই-মেল করে মানুষ নবান্নে অর্থাৎ রাজ্য প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে অভিযোগ জানাতেন। সেজন্য ২০১৯ সালে তৈরি হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেল। সেই ব্যবস্থাটাকেই আরও সহজ করতে চালু হয় ৫০০ জনের কল সেন্টার। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘অভিযোগ এলে দ্রুত তা সমাধানের ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি নিজেও পুরোটা তদারকি করব।’

Bajaj Finance : বাজাজ ফিন্যান্সের লোন দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকার ‘প্রতারণা’, অভিযুক্তের তৃণমূল যোগ?
সিএমও-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ২৫ অগস্ট পর্যন্ত তারা ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৮৪২টি ফোন পেয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কেউ নিছক গল্প করতে অথবা কেউ খুচরো নালিশ নিয়ে ফোন করেছিলেন। তবে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৭৮টি ফোনে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানানো হয়েছিল। এই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখে ১ লক্ষ ২২ হাজার ৬৭৭টির ক্ষেত্রে সারবত্তা মেলায় সেগুলি সিএমও-গ্রিভান্স পোর্টালে তোলা হয়েছে। সিএমও সূত্রের খবর, কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, কালিম্পং, দার্জিলিং জেলা থেকে তুলনায় অভিযোগ কম এসেছে।

Gurudas College News : পড়ুয়াকে নিগ্রহ TMCP নেতার! কলকাতার নামী কলেজে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ
এই সব অভিযোগের প্রায় সবগুলিরই সমাধান করা হয়েছে। নবান্নের কর্তাদের যুক্তি, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্য সাথী, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মতো বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পাচ্ছে না বলে যেসব অভিযোগ আসছে, সেগুলির সমাধানে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। সে সব ক্ষেত্রে প্রায় সব অভিযোগেরই দ্রুত সুরাহা করা গিয়েছে। ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প চালু হওয়ার পর এই ধরনের সরকারি পরিষেবা নিয়ে বিশেষ কোনও অভিযোগ নেই। তবে সমস্যা হচ্ছে যেখানে মানুষ রাস্তা, পানীয় জল, বাংলার বাড়ি, কালভার্ট, ছোট ব্রিজ বা স্কুলে শিক্ষক চেয়ে যেসব আবেদন জমা পড়ছে সেসব ক্ষেত্রে।

Raju Jha : সস্তায় আইফোন চাই? রাজেশ ঝা’র নামে ফ্রড
এছাড়া কিছু ব্যক্তিগত বা সম্পত্তিগত সমস্যা নিয়েও অভিযোগ আসছে। পুলিশ-প্রশাসন সব সময়ে যার সমাধান করতে পারছে না আইনি জটিলতায়। যে কারণে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলায় সুপারের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে ২১০টি অভিযোগ পাঠালেও সমাধান হয়নি ৭৪ শতাংশই। সিএমও সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে অভিযোগের সমাধানের পর বিভিন্ন জেলা থেকে বিভাগীয় আধিকারিকদের কাছে অ্যাকশন টেকন রিপোর্ট গিয়েছে মাত্র ৫৩.৬ শতাংশ ক্ষেত্রে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *