বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: আজব কাণ্ড এজলাসে। সাজা ঘোষণার পরই সরকারি আইনজীবীকে মারার হুমকি সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের। এনিয়ে তোলপাড় আসানসোল আদালত চত্বরে। পুলিস এসে শেষপর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন-দত্তপুকুরে বাজি সরবরাহ চেইনের মূল চক্রী গ্রেফতার
২০২১ সালের জুন মাসে গাঁজা সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিস। সেই মামলা চলছিল আসানসোলের বিশেষ এনডিপিএস আদালতে। বুধবার ওই মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। শুক্রবার তাদের সাজা ঘোষণা হয়। দোষী সাব্যস্ত আজগর খান ও রিয়াজ হায়দরের ১০ বছর কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা হয়। অন্য দুজন ফাইজ হায়দার ও মহম্মদ আজাদের ১২ বছরের সাজা ও ১ লাখ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। অন্যদিকে, গিয়াসউদ্দিন খানের ১৪ বছরের সশ্রম কারদণ্ড ও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমান দেওয়ার নির্দেশ দেন।
দোষী সাব্য়স্তরা আসানসোল উত্তর থানার রেলপাড় খান পট্টি, ঝাপরপট্টি ও সুগম পার্ক চত্বরের বাসিন্দা। অভিযোগ, সাজা ঘোষণার পরপরই আদালত চত্বরের সরকারি আইনজীবী সোমনাথ চট্টোরাজকে মারার হুমকি দেন দোষী সাব্যস্তরা।
ওই ঘটনা নিয়ে সরকারি আইনজীবী সোমনাথ চট্টোরাজ বলেন, পরশু ৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন মাননীয় বিচারক। আজ দুপক্ষের কথা শুনে সাজা ঘোষণা করা হয়। বিচার করার পরই তাদের দোষী সাব্য়স্ত করা হয়েছে। ফলে এনিয়ে আর কোনও প্রশ্ন থাকতে পারে না। দুনিয়ার কোনও চোরকে কোনওদিন দেখেছেন বলেছে তাকে ঠিকভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ করা হচ্ছে তাদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছিল। দেখুন অভিযোগ করার অধিকার সবার আছে। আর যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তারও অধিকার রয়েছে উত্তর না দেওয়ার।
