বিহারের পূর্ণিয়া জেলার বাইসি থানার ট্যাংরাহাটে বাড়ি তৈবুরের। বুধবার এক বন্ধুর সঙ্গে বিহার লাগোয়া ডালখোলায় মোমো খেতে এসেছিলেন তিনি। মোমো খেয়ে ফেরার পথে ঘটনাটি ঘটে। তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রিন্স খান নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রিন্স ডালখোলা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের তথা তৃণমূল নেতা হাজি ফিরোজ আহমেদের ভাইপো বলে খবর।
ডালখোলার এসডিপিও সৌমানন্দ সরকার বলেন, ‘তৈবুর রহমান নামে বিহারের ট্যাংরাহাটের এক যুবক গাড়ি নিয়ে ডালখোলা এসেছিলেন। তিনি ফিরে যাওয়ার সময় রাস্তায় কয়েক জনের সঙ্গে বচসা হয়। সেই গোলমালেই গুলি চলে। মূল অভিযুক্ত প্রিন্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের হেফাজত থেকে একটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’
রায়গঞ্জ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তৈবুর বলেন, ‘আমি ও এক বন্ধু ডালখোলায় মোমো খেতে এসেছিলাম। মোমো খেয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। ফরসরা এলাকায় রাস্তার উপর কয়েকজন মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সাইড দেওয়ার জন্য ড্রাইভার হর্ন দিতেই ওরা এসে অকথ্য গালিগালাজ শুরু করে। তারপরেই একজন আগ্নেয়াস্ত্র বের করে তিন রাউন্ড গুলি চালিয়ে দেয়। একটি গুলি গাড়ির কাছে লাগে। একটি গুলি আমার বাঁ হাতে লাগে।’ তৈবুরের অভিযোগ, হামলাকারীদের মধ্যে ডালখোলা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলে ও ভাইপোরা ছিল।
ভাইস চেয়ারম্যান হাজি ফিরোজ আহমেদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে চেয়ারম্যান স্বদেশ সরকার বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি। এই নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তৃণমূল এই ধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেয় না। ঘটনায় যে-ই জড়িত থাকুক, পুলিশকে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’