বৃহস্পতিবার রাত- রানাঘাট আইসতলা, ঝড়-বৃষ্টি নেই। কিন্তু, দফায় দফায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। গরমে রীতিমতো নাজেহাল সাধারণ মানুষ। ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম- বিস্তীর্ণ অঞ্চলে লোডশেডিং। ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা কালিশংকর সাহা বলেন, “রাত এগারোটার সময় হঠাৎ করে কারেন্ট চলে যায়। এরপর ১২টার সময় বিদ্যুৎ আসে। আবার রাত তিনটে নাগাদ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।”
বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। মেদিনীপুর শহর, ঘাটাল, খড়গপুর-তিন মহকুমাতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট। তীব্র গরমে অতিষ্ট এলাকাবাসী।
একইদিনে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া,তমলুক,কাঁথি, দিঘা, তাজপুর, মন্দিরমনি বিস্তীর্ণ অংশে দীর্ঘক্ষণ ছিল না বিদ্যুৎ।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। গরমে অতিষ্ট হন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। একই সঙ্গে কাজকর্মের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু, হঠাৎ কেন এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের আশঙ্কা, শুক্রবার রাতেও কি এই সমস্যায় পড়তে হবে তাঁদের?
পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা অশোক মণ্ডল বলেন, “কাল সারা রাত কারেন্ট না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে আমাদের। কী হয়েছে তা জানি না। কিন্তু, অনন্তপক্ষে আজ যেন পরিস্থিতি ঠিক থাকে এমনটাই চাইছি।”
ঠিক কী ঘটেছে?
এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম বিদ্যুৎ বিভাগের ডিভিশনাল ম্যানেজার মৌমিতা মাঝির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “গতকাল রাত্রে কেবলমাত্র ঝাড়গ্রাম জেলায় নয়, পুরো রাজ্যেই বিদ্যুৎ ছিল না। কী কারণে এমনটা হয়েছে সেই তথ্য আমাদের কাছে আসেনি।”
বিদ্যুৎ দফতরের মেদিনীপুর জোনের এক কর্তা বলেন, ” আমাদের কাছে বিস্তারিত কোনও তথ্য নেই। তবে একটা অস্থায়ী সমস্যা হয়েছে বলে শুনেছি। আর সেই কারণেই বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ছিল না কিছু অংশ। আজও সমস্যা হতে পারে বলে শুনেছি।” বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের তরফে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।