কী উদ্যোগ নেওয়া হল?
প্রতিদিন যেভাবে ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছে তাতে পুজোর আগে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা। এমন অবস্থায় ডেঙ্গি নিয়ে মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন করা প্রয়োজন মনে করে হুগলি জেলা প্রশাসন। শনিবার চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে ডেঙ্গির বাহক এডিস মশার মডেল নিয়ে প্রচার ট্যাবলোর উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, হুগলি জেলা শাসক পি দীপাপ প্রিয়া। উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক রমা ভুঁইয়া সহ প্রশাসনের আধিকারীকরা। সবুজ পতাকা নাড়িয়ে ট্যাবলোর সূচনা করা হয়।
কী করবে এই ট্যাবলো?
হুগলি জেলার ১৮ টি ব্লক ২০৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ১২ টি পুরসভা ও একটি পুরনিগমে ঘুরে প্রচার করবে এই ট্যাবলো। ফাইবারের জাম্বো এডিস মশার সঙ্গে শব্দ ভাষ্যের মাধ্যমে তাদের বংশবৃদ্ধি কোথায় কিভাবে হয় কী ভাবে মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়, হলে কি হয় তা প্রচারিত হবে।
স্বাস্থ্য আধিকারিক কী বলেন?
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক জানান, শহর ও গ্রামাঞ্চলে ঘুরে প্রচার করবে এই ট্যাবলো। মশা কামরালে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়া হতে পারে। সেটাই প্রচার করবে মশার কামর থেকে বাঁচার পাশাপাশি বাড়ির আশেপাশে যাতে মশা না জন্মায় তার জন্য সচেতন থাকতে হবে।
ট্যাবলো উদ্বোধনের পর রবীন্দ্র ভবনে মিশন নির্মল বাংলার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। জেলার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েত গুলোর প্রধান উপ প্রধান নির্মান সহায়কদের নির্মল বাংলার বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ন করার বিষয়ে বলা হয়। উপস্থিত ছিলেন স্বচ্ছ ভারত মিশনের রাজ্যের ডিরেক্টর সন্তোষ গুপি রাম চন্দ্রন।
মন্ত্রী কী বললেন?
বেচারাম মান্না জানান, নির্মল বাংলার যে প্রকল্প গুলো আছে যেমন,ভূগর্ভস্থ জল কে রক্ষা করা,প্লাস্টিককে আলাদা করা, পচনশীল দ্রব্য নিয়ে জৈব সার তৈরি করা,মশা যাতে জন্মাতে না পারে তার সচেতনতা বাড়ানো এবং কাজ করা,এই বিষয়গুলো নিয়ে পঞ্চায়েত স্তরের প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মীদের একটি কর্মশালা করা হয়।আজ হুগলি জেলায় হল রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে ঘুরে ঘুরে এভাবেই কর্মশালা করা হবে। শৌচমুক্ত করে পরিবেশকে রোগ মুক্ত রাখতে হবে। আর এই কাজে জনপ্রতিনিধি সরকারি কর্মীরা যেমন থাকবে সাধারণ মানুষকেও যুক্ত করতে হবে।