ঠিক কী ঘটেছে?
জেল হেফাজতে থাকা এক বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল পাঁচলা থানার জয়নগর সরদারপাড়ায়। ঘটনায় শনিবার সকালে উত্তেজিত জনতা পাঁচলা জয়নগর রাস্তার সরদার পাড়ায় পথ অবরোধ করে। প্রায় ঘণ্টাখানেক পথ অবরোধ চলার পর পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়।
বন্দি মৃত্যুর ব্যাপারে কী জানা যাচ্ছে?
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সরদার পাড়ার বাসিন্দা সোমনাথ সরদার। তার নামে পাঁচলা থানায় একটি পুরানো মামলা ছিল। জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে সেই মামলায় পুলিশ সোমনাথকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর বুধবার তাকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে জেলে হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিকে জেল হেফাজতে থাকাকালীন শুক্রবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়ে সোমনাথ।
মৃত্যু কী ভাবে হল?
ওই বন্দিকে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে সোমনাথের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমনাথকে মারধরের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগে পথ অবরোধ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পাঁচলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছেন?
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছর ৭ আগে সোমনাথ বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। এই ঘটনায় নাবালিকার পরিবার সোমনাথের নামে পাঁচলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেইমতো পুলিশ একটি মামলা রুজু করে ঘটনার শুরু করে। জানা গিয়েছে, সেই পুরানো মামলায় সোমনাথ আদালতে হাজিরা দিলেও এবারে সে হাজিরা না দেওয়ায় তার নামে ওয়ারেন্ট জারি হয়।
আর কী ঘটেছে?
গত মঙ্গলবার রাতে পুরনো মামলায় পুলিশ সোমনাথকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আর তারপরেই শুক্রবার রাতে সোমনাথের মৃত্যু হয়। সোমনাথের বাবা বিশ্বনাথ সরদার জানান, মঙ্গলবার রাত ১০ টা নাগাদ ৩ জন পুলিশ কর্মী ছেলেকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। বলেছিল পরের দিন ছেলে বাড়ি ফিরে আসবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ছেলে বাড়ি ফিরল না। শেষে ওর মৃত্যু হল।