তৃণমূলের নব নির্বাচিত প্রধান-উপপ্রধানদের হুঁশিয়ারি
এদিনের সভা থেকে অভিষেক জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী ও প্রধান-উপপ্রধানরা যদি মানুষের কাজ না করেন, তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হবে। অভিষেক বলেন, ‘নবজোয়ারের সময় আমি বলে গিয়েছিলাম। যাঁরা প্রধান-উপপ্রধান হয়েছেন, ভাববেন না যে আগামী পাঁচ বছর যা ইচ্ছা তাই করবেন। আমি প্রতি তিনমাস অন্তর পর্যালোচনা করব, খবর নেব। যদি কেউ ভালো কাজ করে তাঁর পদের মেয়াদ বাড়বে। আর যদি কেউ খারাপ কাজ করে বা মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নয়া পদ্ধতিতে কাজের বিশ্লেষণ
তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান-উপপ্রধানদের কাজ পর্যালোচনার জন্য এদিনের সভা থেকে বিশেষ পদ্ধতি চালুর ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিষেক। গোটা রাজ্যেই পদ্ধতি মেনে চলা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, ‘আগে বলে গিয়েছিলাম, আজ আবার এই কথা বললাম। আগামী দু’মাসের মধ্যে ধূপগুড়ির মাটি থেকে শুরু হবে পঞ্চায়েত প্রধান-উপপ্রধানদের কাজের পর্যালোচনা। ধূপগুড়ির যে কটা অঞ্চল আছে সেখানকার প্রধান-উপপ্রধানদের তিনমাসের কাজের বিশ্লেষণ হবে। কেউ মানুষকে পরিষেবা দিলে পদে থাকবে। পরিষেবা না দিলে টাটা বাই বাই, খেলা শেষ। যতবড় নেতার ছত্রছায়ায় থাকুন না কেন কেউ বাঁচাতে পারবে না। মানুষ যাঁকে সার্টিফিকেট দেবে তাঁরার পদে থাকবে।’
বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ
অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে ধূপগুড়ির নির্বাচনে জিততে টাকা পয়সা বিলির অভিযোগ করেছেন অভিষেক। তৃণমূল নেতা বলেন, ‘আমি শুনলাম বিজেপির নেতারা টাকা পয়সা বিলি করছে। মানুষকে হাতজোড় করে অনুরোধ করব, টাকা দিলে নিয়ে নিন। ওটা আপাদেরই টাকা। বড় ফুলের থেকে টাকা নিন আর জোড়াফুলে ভোট দিন। মানুষের সমর্থন টাকা দিয়ে কিনবে বলে ভাবছে বিজেপি। ধূপগুড়িকে মহকুমার দাবি বিজেপি লোকসভা বা বিধানসভায় তোলেনি। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়াতেও একটাও পোস্ট করেনি।’
