Adhir Chowdhury Mohammed Salim : মুম্বইয়ে বৈঠকের দিনেও বাংলায় তৃণমূলকে নিশানা অধীর-সেলিমের, বিজেপির দালালি! পালটা কুণালের – on the day of the opposition alliance meeting in mumbai adhir chowdhury and mohammed salim attacked trinamool


এই সময়: মু্ম্বইয়ে যখন ‘ইন্ডিয়া’র জোট শরিকরা হাত ধরাধরি করে বিজেপিকে দিল্লির মসনদ থেকে উৎখাত করার শপথ নিচ্ছেন, রাজ্যে রাজ্যে সিট শেয়ারিংয়ের পথ খোঁজার চেষ্টা চলছে–ঠিক সেদিনই উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়িতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি ও সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম একমঞ্চ থেকে একসুরে আক্রমণ করলেন তৃণমূলকে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার–দু’দিন ধরে মুম্বইয়ে এক টেবলে বৈঠক করেছেন সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সীতারাম ইয়েচুরিরা। কিন্তু জাতীয় স্তরে তৃণমূল যে এখন তাঁদের জোট শরিক, তা বোঝাই গেল না শুক্রবার ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের যৌথ প্রচারসভায় অধীর-সেলিমের চাঁচাছোলা বক্তৃতা শুনে।

Rahul Gandhi Abhishek Banerjee : রাহুল-অভিষেক মিটিংয়ে কী অ্যাজেন্ডা? বিরোধীদের আক্রমণের পালটা তৃণমূলের
সেলিম জোর গলায় তৃণমূল-বিজেপি সেটিংয়ের অভিযোগ করলেন। অধীরও কার্যত একই সুরে বললেন, ‘একদিকে মোদী, অন্যদিকে দিদি। দু’জনে মিলেই আমাদের রাজ্যটাকে শোষণ করছে।’ পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, বাংলায় বিজেপির হাত শক্ত করাই অধীর ও সেলিমের উদ্দেশ্য। রাজনৈতিক মহলের মতে, সিপিএম আর কংগ্রেসের অন্দরে এখন জাতীয় এবং রাজ্য রাজনীতির বাধ্যবাধকতার মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে। ফলে দুই দলের নানা পদক্ষেপ পরস্পরবিরোধী হয়ে উঠছে।

Dhupguri Bypoll Election : ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিনই রাজ্যে TMC-র বিরুদ্ধে এক মঞ্চে অধীর-সেলিম, সমালোচনায় শাসকদল
এদিনের সভায় অধীর তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। বিরোধী দলগুলির অনেকে খুন হয়েছেন। তবুও সন্ত্রাস অব্যাহত।’ একইসঙ্গে তিনি তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যকে অর্থিকভাবে পিছিয়ে দেওয়ার অভিযোগও করেছেন। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্র পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়িয়েছে। মানুষের ভোগান্তি কমাতে তৃণমূল সরকারও কোনও উদ্যোগ নেয়নি।’

Mamata Banerjee Abhishek Banerjee : মমতা-অভিষেকের ধর্নায় অনুমতি দিল না শাহের পুলিশ, বিকল্প জায়গা খুঁজছে তৃণমূল
অন্যদিকে, সেলিমও তৃণমূল-বিজেপিকে একসূত্রে গেঁথে আক্রমণ করেন। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘তৃণমূলের যে নেতারা একদম পচে গিয়েছেন, তাঁদের অনেককে বিজেপিতে পাঠানো হয়। এটাই দুই দলের বোঝাপড়া।’ অধীরের মতো তিনিও বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর কথায়, ‘তৃণমূলের দুষ্কৃতী ও পুলিশের যৌথ আক্রমণে বাংলার মানুষ দিশেহারা। লাগামছাড়া সন্ত্রাস হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে।’ সেলিমের দাবি, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের মতো রাজ্যে তৃণমূল সরকারও সমানভাবে দায়ী।’

Mohammed Salim : যাদবপুরে ‘গোলি মারো’ নিয়ে বিজেপিকে তোপ সেলিমেরও
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মুম্বইয়ে যতই ইয়েচুরি, রাহুল গান্ধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিন না কেন, অধীর-সেলিমদের তৃণমূলকে ছাড় দেওয়ার কোনও উপায় নেই। কারণ, তৃণমূলের প্রতি সুর নরম করলে বাংলায় তাঁদের রাজনৈতিক অস্তিত্বই যে সঙ্কটের মুখে পড়বে, তা বিলক্ষণ জানেন তাঁরা।

CPIM West Bengal: ‘মমতার মনে ভয় অভিষেক সিজিও-তে গেলে শুভেন্দুর মতো BJPতে না চলে যায়,’ কটাক্ষ সেলিমের
এদিন ধূপগুড়িতে বাম-কংগ্রেসের যৌথ আক্রমণের জবাবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল বলেন, ‘মুম্বইয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের রণকৌশল ঠিক হচ্ছে, আর বাংলার সিপিএম-কংগ্রেস নেতারা চুটিয়ে বিজেপির দালালি করছেন। মানুষ সব দেখছে।’ রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর কথায়, ‘এ রাজ্যে টিম ইন্ডিয়ার নেতৃত্বে তৃণমূল। ওদের (বাম-কংগ্রেস) সেটা বুঝতে হবে। সামনে লোকসভা নির্বাচন। সেই কারণে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছি। কিন্তু যারা এতদিন গর্তে ছিল, তারাও বেরিয়ে পড়েছে। আমাদের মনে হয়, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, মহম্মদ সেলিম এবং অধীর চৌধুরিরা যা বলেন, তা এক জায়গা থেকেই শেখানো বুলি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *