Kolkata Police : সেনকোকাণ্ডের জের, শহরের সোনার দোকানগুলিকে একজডন পরামর্শ পুলিশের – kolkata police has issued 12 points advisory for jewellery shop after senco gold and diamonds robbery


রানাঘাট ও পুরুলিয়ায় সেনকো গোল্ডের শোরুমে জোড়া ডাকাতির পর এবার আরও সতর্ক পুলিশ। নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহেই সোনার দোকানের মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পুলিশ কর্তারা। তার আগে আপাতত নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১২ দফা এক অ্যাডভাইজারি জারি করল কলকাতা পুলিশ।

যা যা বলা হয়েছে অ্যাডভাইজারিতে…
সেই অ্যাডভাইজারিতে বলা হয়েছে, দোকানের বাইরে ও ভিতরে বসাতে হবে হবে উচ্চমানের সিসি ক্যামেরা। এছাড়া সিসিটিভির আউটপুট দোকানে নয়, রাখতে হবে অন্য কোথাও। যাতে যে ব্যক্তি সিসিটিভি মনিটরিং করবেন, তিনি বিশেষ পরিস্থিতে পুলিশকে খবর দিতে পারেন। সিসিটিভি ফুটেজের ব্যাক আপ রাখতে হবে, যাতে লোকাল ডিভিআর যদি কোনও কারণে লুঠও হয়ে যায়, তাহলেও যেন ফুটেজ পাওয়া যায়।

Senco Gold And Diamonds : ১৮ বছরেই পুলিশের খাতায় নাম, সেনকোর ডাকাতিতে ধৃত কুন্দন যাদব ‘ঠান্ডা মাথার খুনি’
একইসঙ্গে সিসি ক্যামেরাগুলির ২৪x৭ রিয়েল টাইম মনিটরিং করতে হবে এবং সেগুলি এমন জায়গায় বসাতে হবে যাতে, দোকনে প্রবেশ ও বাইরে যাওয়ার পথ, ভল্ট, লকার, ক্যাশ কাউন্টার-সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলির ছবি স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। পাশাপাশি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স-সহ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রাখতে হবে।

Ranaghat News: সেনকোয় ডাকাতিতে জড়িয়ে রাজু ঝা খুনে অভিযুক্ত শার্প শ্যুটার! রানাঘাট কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই একইসঙ্গে ডাকাতির ঘটনা ঘটে রানাঘাট ও পুরুলিয়ায় সেনকো গোল্ডের শোরুমে। তারমধ্যে রানাঘাটে রীতিমতো পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই হয় ডাকাতদের। ঘটনার দিনই ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিদের খোঁজেও জারি রয়েছে তল্লাশি। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ধৃতদের মধ্যে কুন্দন কুমার যাদব নামে এক ব্যক্তি, যে রাজু ঝা-র খুনের ঘটনাতেও যুক্ত। আদতে বিহারের বাসিন্দা কুন্দন কুমার এরাজ্যে একাধিক অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।

Senco Gold Ranaghat Robbery Today: রেইকি হয়েছিল আগেই, সেনকোতে ডাকাতিতে যুক্ত বিহারের গ্যাং! পুলিশী তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
পুলিশ সূত্রে খবর, মাত্র ১৮ বছর বয়সেই বিহারের বৈশালী জেলার বিদপুরে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চেয়েছিল কুন্দন। সেই ব্যবসায়ী টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায় সে। যদিও কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে যান ওই ব্যবসায়ী। এরপর বিদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই প্রথম পুলিশের খাতায় নাম ওঠে কুন্দন কুমারের। গ্রেফাতার হয়ে জেলে থাকাকালীন অন্যান্য অপরাধীদের সঙ্গে মিলে নিজের গ্যাং তৈরি করে সে। এরপর ধীরে ধীরে অপরাধ জগতে শার্প শ্যুটার হয়ে ওঠে কুন্দন কুমার। তবে নিজের এলাকায় অবশ্য তোলাবাজি ছাড়া অন্য কোনও অপরাধ খুব একটা করেনি সে। বরং বিহারের পরিবর্তে বাংলাতেই বেশি পরিমানে অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে থেকেছে কুন্দন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *