দু’দফায় এদিন ঘণ্টা দেড়েক সময় ধরে শুনানি চলে। প্রথম দফার শুনানির পরে ইডির আইনজীবী এজলাস থেকে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। বিচারক ইডির আইনজীবীকে তার জন্য সময় দেন। কিছু পরে তিনি ফের ফিরে আসেন এজলাসে। আগের মতোই তিনি তাঁর আবেদনের পক্ষে যুক্তি দিয়ে সওয়াল করেন। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হননি বিচারক। এর পর বিচারক জানিয়ে দেন, আগামী ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন।
গত ২৮ জুলাই আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ৪৪ (১/সি) ধারায় মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরের আবেদন করেছিল ইডি। ১৯ অগস্ট ছিল সেই আবেদনের শুনানি। কিন্তু সেদিন বিচারক ইডির আইনজীবীর যুক্তিতে সন্তুষ্ট হননি। এদিন ছিল সেই আবেদনের দ্বিতীয় শুনানির দিন। এদিন বিচারক ইডির আইনজীবীর কাছে জানতে চান, কোনও আইন, অর্ডিন্যান্স অথবা গেজেট নোটিফিকেশন কি রয়েছে যাতে ইডিকে এই অধিকার দেওয়া আছে? বিচারক আরও জানতে চান, কোনও মামলা কি ইচ্ছে করলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি যে কোনও রাজ্যে নিয়ে যেতে পারে? সেই সময় ইডির আইনজীবী আইনের একাধিক ধারা উল্লেখ করলেও বিচারক ভরা এজলাসে জানিয়ে দেন, তাঁর প্রশ্নের কোনও জবাব ওই সব ধারায় নেই। এর পরে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
এদিন অনুব্রতর তরফে আদালতে হাজির ছিলেন আইনজীবী শেখর কুণ্ডু ও সোমনাথ চট্টরাজ। পরে সোমনাথ বলেন, ‘ইডির আইনজীবী বিচারকের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।’ অন্য দিকে, ইডির আইনজীবী বিচারকের নির্দেশ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
২০২২-এর ১১ অগস্ট বোলপুরের বাড়ি থেকে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার পর দীর্ঘ কয়েক মাস আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে ছিলেন তিনি। এই বছরের মার্চ মাসে দোলের দিন সকালে অনুব্রতকে গ্রেপ্তার করে দিল্লিতে নিয়ে যায় ইডি। তার পর থেকে দিল্লির তিহার জেলেই রয়েছেন কেষ্ট। সেখানে অনুব্রতর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর এক সময়ের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সেহগল হোসেন। এই মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাও রয়েছেন তিহার জেলে।