কী জানালেন নওশাদ ?
নওশাদ এদিন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে লেখেন, ডুরান্ড ফাইনালে টিকিট নিয়ে যেভাবে কালোবাজারি হল আমি ক্রীড়াপ্রেমী হিসাবে ব্যথিত। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব আগামী দিনে টিকিট নিয়ে এই ধরনের কোনো কালোবাজারি হবে না, সে ক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসন, ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং টুর্নামেন্ট অর্গানাইজিং কমিটি যারা থাকবেন তারা সজাগ থাকবেন।’
ডুরান্ড ফাইনাল নিয়ে কী বক্তব্য?
দুই বড় দলের ম্যাচে যদিও কাউকেই নির্দিষ্ট করে সমর্থন জানাননি তিনি। নওশাদ বলেন, ‘মাথা বলছে মোহনবাগান জিতবে, হৃদয় বলছে ইস্টবেঙ্গল জিতবে’। এরপরেই তিনি জানান, ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান এই দুই দলের খেলোয়াড়- কোচ, সমর্থকদের আমার তরফ থেকে অফুরন্ত শুভেচ্ছা রইল। বাংলার বড় প্রাপ্তি এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে যেই জিতুক না কেন ডুরান্ড কাপ বাংলা পাচ্ছে ।
মাঠের মধ্যে শৃঙ্খলা
ISF বিধায়ক জানান, আমি আশা করব এবং আশা রাখি ৯০ মিনিটের সৌজন্যতা মাঠের ভিতর এবং মাঠের বাইরে খেলোয়াড় ও সমর্থকদের মধ্যে বজায় থাকবে। এদিনের খেলায় মোহনবাগান কাপ চ্যাম্পিয়ন হন। এক গোলের ব্যবধানে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে দেয় মোহনবাগান।
টিকিট নিয়ে রহস্য
এই হাই ভোল্টেজ ম্যাচের টিকিট সম্পূর্ণ বিক্রি হয়ে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তবে ম্যাচ চলাকালীন দেখা যায়, গ্যালারির কিছুটা অংশ ফাঁকা রয়েছে। মাঠ কেন ভরল না? সেই নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। টিকিট প্রচুর পরিমাণে কালোবাজারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয় একপক্ষের তরফে। এরপরেই, চড়া দামে টিকিট অনেকে কিনতে পারেননি বলেই মনে করা হচ্ছে। শনিবার থেকে টিকিটের জন্যে হাহাকার দেখা গিয়েছে ময়দান জুড়ে। ম্যাচ শুরুর সময় দেখা যায়, অনেক আসন ফাঁকা আছে। এর থেকেই প্রমাণিত হয়, অনেক আসনের জন্যেই টিকিট পাননি দর্শকরা। টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ তোলা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। ১০০ টাকার টিকিট পাঁচ থেকে ছয়শো এমনকি ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয় বলেও জানা গিয়েছে। এত পরিমাণ কালোবাজারি নিয়েও এবার সরব হতে শুরু করেছে অন্যান্য রাজনৈতক দলগুলিও।