মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে চাকরি পেয়েও বেতনহার, জেলা প্রশাসনকে হলফনামা দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের


অর্নবাংশু নিয়োগী: মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে মিলেছিল একটি অস্থায়ী চাকরি। কিন্তু বেতন পাচ্ছিলেন না বিশেষভাবে সক্ষম ঝাড়গ্রামের যুবক জগন্নাথ মাহাত। এনিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। মামলায় পার্টি করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই মামলায় ঝাড়গ্রাম জেলার মামলাকারীকে ডেকে শুনানি করার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি লপিতা ব্যানার্জী। ওই নির্দেশ দেওয়া হল ঝাড়গ্রামের এসডিওকে। মামলাকারীর শিক্ষকতা যোগ্যতা এবং শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী কোন চাকরি করতে পারবেন তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।

আরও পড়ুন-ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি; কত দিন দক্ষিণবঙ্গে থাকবে বৃষ্টির দাপট, জানাল হাওয়া অফিস

ঝাড়গ্রাম সফরের পর ২০১৫ সালে আনন্দ সম্মান অনুষ্ঠানে জগন্নাথ মাহাতকে ডেকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বছরই ৯ জুন ঝাড়গ্রাম এসডিও নিজের অফিসেই অস্থায়ী পদে চাকরি দেন জগন্নাথকে। আগামীতে স্থায়ীকরনের আশ্বাস দিয়েছিলেন বলেই দাবি মামলাকারীর।

এদিকে, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা শুরু হয়। পরে জেলাশাসক তাকে অন্য বিভাগে স্থানান্তরিত করেন। রোজ রেজিস্ট্রার স্বাক্ষর করতে বলা হয়। অভিযোগ, ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তিনি কোনও বেতন পাননি। এমনকি রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করতেও দেওয়া হয়নি। জেলা শাসককে সেই বিষয়ে অভিযোগ জানান মামলাকারী। এমনকি তার কাজের টেবিল চেয়ার সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে ঝাড়গ্রামে জঙ্গলমহল উত্সবের উদ্বোধন সেরে ফেরার পথে জগন্নাথকে গাড়রো বাসস্ট্যান্ডে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে জগন্নাথ বলেন, সেদিন মুখ্যমন্ত্রী আমার কাছ থেকে সব বিষয় শোনেন। তিনি চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি না পেয়ে  ২০১৫ সালের মে মাসে জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে চাকরির কথা বলেছিলাম। ওই বছরে জুন মাসে জগন্নাথকে জেলাশাসক ডেকে একটি অস্থায়ী চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে মহকুমা শাসকের অফিস থেকে তাঁকে জেলা শাসকের অফিসে স্থানান্তর করা হয়। তারপর থেকেই বেতন পাচ্ছেন না জগন্নাথ।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *