পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভাঙড়ের সব গ্রাম পঞ্চায়েতে উপসমিতি গঠন। কোনও ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে চাইছে প্রশাসন। তাই অশান্তি এড়াতে প্রতিটি পঞ্চায়েতের ২০০ মিটার জুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। মাইকিং করে আজ থেকেই জানিয়ে দিচ্ছেন কাশীপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড়ের তৃণমূল প্রার্থী রেজাউল করিমকে পরাজিত করে জয়ী হন ISF-র নওশাদ সিদ্দিকি। তারপর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই এলাকায় ক্ষমতা বাড়তে থাকে আইএসএফের। এরপর ডিসেম্বর মাসে ভাঙড়ের হাতিশালায় সংঘর্ষে জড়ায় TMC-ISF। দু’দলের সমর্থকদের মধ্য ব্যাপক মারামারি হয়। কলকাতায় গ্রেফতার করা হয় নওশাদকে।
এই ঘটনার পর থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। TMC-ISF তৃণমূল সংঘর্ষে বোমাবাজি ও গুলি চালনার ঘটনয়া প্রায় রোজই লেগে থাকত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে দুই দলের বিবাদ চরমে ওঠে। ভাঙড়ের বিডিও অফিসের সামনে TMC-ISF সংঘর্ষের ঘটনায় মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। শুরু হয় দফায় দফায় সংঘর্ষ। এলাকা দাপিয়ে বেরিয়েছিল বহিরাগতরা। পুলিশকে পিছু হঠতে হয়।
পঞ্চায়েত ভোটের দিন সেভাবে উত্তেজদনা না ছড়ালেও ভোটগণনার দিন ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই এলাকা। পুলিশ ওই আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ হয় গুলিতে আহন দুই পুলিশকর্মী। তারপরই বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়ায় যায়। কলকাতার খুব কাছে ভাঙড়ে এই ধরনের ঘটনা ক্রমেই অস্বস্তি বাড়াচ্ছিল সরকারের।
ভাঙড়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারুইপুর পুলিশ জেলার আওতায় থাকা ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের এলাকার আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ কমিশনার ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলেন মমতা। সেই মতো ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। লেদার কম্পলেক্স, কাশীপুর ও ভাঙড় থানা ভেঙে তৈরি হচ্ছে ৯টি নয়া থানা। এরপর ভাঙড়ের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আসে কি না, সেটাই দেখার।