রানা রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের ১৭ অগাস্টের মাঝে ওই মহিলাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এমনকী নিজের গোপনাঙ্গ প্রদর্শন করে অশালীন অঙ্গভঙ্গিও করেছেন। গত ১৭ অগাস্ট এলআইজি হাউজিং-এর ভিতরে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে ওই মহিলাকে জড়িয়েও ধরেন রানা। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দরিদ্র মানুষ ও বিক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণারও অভিয়োগ রয়েছে। প্রতারণার মোট অর্থ হল ৬২ হাজার টাকা।
ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গত ২ তারিখ টালা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ। ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩৫৪-এ, ৩৫৪-ডি, ৪১৯, ৪২০ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রের খবর ধৃত ব্যক্তি কোচবিহারের কোনও কলেজের অধ্যাপক। বিগত বেশ কয়েকবছর ধরেই বেলগাছিয়ার একটি আবাসনে যাতায়াত রয়েছে তাঁর। তদন্তকারী অধিকারিকদের ওই মহিলা তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, নিজেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চপদস্থ অফিসার হিসাবে পরিচয় দিতেন রানা রায়। এমনকী নিজের গাড়িতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গ্রুপ-এ অফিসার লেখা বোর্ড লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতেন ওই ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ডাকযোগে খুনের হুমকি পান যাদবপুরের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু। তারপরেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। এরপর যাদবপুরের উপাচার্যকে চিঠি ও ইমেল করে পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছা প্রকাশও করেন রেজিস্ট্রার। যদিও তাঁর সেই ইস্তফা গৃহিত হয়নি বলেই খবর। এই বিষয়ে রেজিস্ট্রারকে ফোন করা হলে, তিনি অবশ্য অবসরের জল্পনা উড়িয়ে দেন।
প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিগত বেশকিছুদিন ধরেই সরগরম রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ব়্যাগিংয়ের জেরেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনা তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই কয়েকজনে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের ধারণা ঘটনায় আরও অনেকে যুক্ত। সেক্ষেত্রে আরও কারা এই ঘটনায় যুক্ত তাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।