ফলে কেইআইআইপি প্রকল্পের আওতায় এই সব ওয়ার্ডে যতটা কাজ হয়েছে, তার কোনও সুফল পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। ব্রহ্মপুর, রেনিয়া, কংগ্রেস নগর, দীনেশ নগর, আনন্দপল্লি লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বৃষ্টি হলেই তাঁদের জমা জলের সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা নিয়ে ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সন্দীপ দাস, ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের গোপাল রায় এবং ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের অনিতা কর মজুমদার অনেক বার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিংয়ের কাছে দরবার করেছেন। পাইপলাইনের সংযোগের কাজের জন্য টাকা বরাদ্দ না হওয়ায় পুরকর্তারাও কোনও পরিকল্পনা করতে পারছিলেন না।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নগরোন্নয়ন দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া নিকাশি উন্নয়নের কাজে এই ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৫২ কোটি টাকা ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য, ২৩ কোটি ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য এবং ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য ২৫ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ১১ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের বোরোর তিনটি ওয়ার্ডে নিকাশি সংযোগের কাজের জন্য নগরোন্নয়ন দপ্তরের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী এই টাকা খরচ করা হবে।’ সূত্রের দাবি, ১১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশি কাজের জন্য ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে নগরোন্নয়ন দপ্তরের কাছে। তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের এখনও কোনও সবুজ সঙ্কেত মেলেনি।