সম্প্রতি কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলা কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ও সিবিআইকে যৌথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। আদালতের নির্দেশের পরও জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে সিবিআই কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জয়েন্ট কমিশনার। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারকের এই মন্তব্য বলে জানা গিয়েছে।
কুন্তলের অভিযোগ ছিল, তাঁর বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় শারীরিক নির্যাতন করে ইডি। দুই ইডি আধিকারিক ও সিবিআইয়ের এক ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিকের দিকে অভিযোগ আঙুল তুলেছিলেন কুন্তল ঘোষ। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল কুন্তল জেলা আদালতে এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে পারবেন। এরপর আলিপুর আদালতের কুন্তলকে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তাঁকে ঘরে ডেকে যাবতীয় অভিযোগ শোনেন বিচারক।
এরপর বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক নির্দেশ দেন, কুন্তলের যাবতীয় অভিযোগ যৌথভাবে তদন্ত করে দেখবে সিবিআই ও কলকাত পুলিশ। সিবিআইয়ের যুগ্ম ডিরেক্টর ও কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিককে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে এই তদন্ত হবে বলে জানিয়ে দেয় বিশেষ সিবিআই আদালত। বিচারক জানান, এই অভিযোগের তদন্তে প্রয়োজন অনুযায়ী অভিযুক্তদের জেরা করতে পারবে সিবিআই ও কলকাতা পুলিশ। একইসঙ্গে কুন্তল ঘোষের স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষকে জেরা করতে করতে পারবে পুলিশ ও সিবিআই।
উল্লেখ্য, চিঠিতে আরও একটি চাঞ্চল্যকর দাবি করেন কুন্তল। তিনি জানান তাঁকে দিয়ে জোর করে তৃণমূলের শীর্ষনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা। এই নিয়ে বিস্তর আইনি লড়াই চলছে।