কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি করছে শাসকদলের ছাত্র শাখা বলে অভিযোগ তুলেছে বাম ছাত্র দল। এবিষয়ে সোমবার রায়গঞ্জে সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক কুশান ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন পঠনপাঠন ক্ষেত্র বন্ধ থাকায় এবছরে পড়ুয়াদের বাড়তি চাপ পড়েছে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। তার ভিত্তিতে বারংবার সংগঠনগত ভাবে তারা কলেজের প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের আসন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।’ কিন্তু তারপরেও কোনও সক্রিয়তা দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।
এসএফআইয়ের অভিযোগ, চারিদিকে যখন অনলাইন মাধ্যমে ভর্তি ক্ষেত্রে নামের তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে তখন এই কলেজে তার ব্যতিক্রমী ছবি ধরা পড়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রভাবে কর্তৃপক্ষ নিজেদের পছন্দমাফিক তালিকা তৈরী করে ভর্তি নিচ্ছে বলে অভিযোগ। গত ৩১ তারিখে যে আড়াইশো জনের ভর্তি নেওয়া সেখানেও অনিয়ম রয়েয়েছে বলে অভিযোগ।
এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক কুশান ভৌমিক বলেন, ‘গত ৩১ অগাস্ট সুরেন্দ্রনাথ কলেজের পেজেই একটি নোটিশ বেরোয়। যেখানে বলা হয়েছিল বি.এ পাস কোর্সে যারা ভর্তি হতে পারেননি, তারা এদিন আবেদন করতে পারবেন। তবে আগে এলে আগে জায়গা পাওয়া যাবে এই ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হবে বলে সেখানে জানানো হয়। কিন্তু দেখা গেল সকাল সাড়ে দশটায় লিস্ট প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বিকেল চারটের মধ্যে ২৫০ জন ভর্তি হয়ে গিয়েছে। যদিও অনেক যোগ্য প্রার্থী ভর্তি হতে পারেনি। আমাদের সন্দেহ, শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের দেওয়া বা তৈরি তালিকার ভিত্তিতে এই ভর্তি প্রক্রিয়া চলেছে। এখনও বহু পড়ুয়া ভর্তি হতে পারেননি।’ এক্ষেত্রে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দেন এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক কুশান ভৌমিক।
যদিও এসএফআইয়ের তোলা এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাদের দাবি, ভুল তথ্য পরিবেশন করছে এসএফআই। তবে সীমিত আসনের কারনে অনেক পড়ুয়া যে ভর্তি হতে পারেননি তা মেনেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্ব। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা রিন্টু দাস, ‘বাম ছাত্র নেতাকে আক্রমণ করে বলেন, ওদের কোনও সংগঠন নেই । তাই ভুলভাল বিষয় রটিয়ে খবরে আসতে চাইছে। আমরা সারা বছর পড়ুয়াদের পাশে থাকি। কিন্তু ভর্তি প্রক্রিয়ায় আমাদের কোনও যোগ নেই।’ তাদের দাবি, অনলাইনে পেমেন্টর কারণে যারা ভর্তি হতে পারেনি, তাদের বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয়।