Uttar 24 Pargana : আইএএসের সই জাল করে ‘ডোবা’ চরিত্র পাল্টে ‘বাস্তু’! পিছনে বড় চক্র খুঁজছে পুলিশ – additional district commissioner of north 24 parganas and district land and land reforms officer shama parveen have been accused of forging signatures of ias


এই সময়: রুমাল থেকে বিড়াল বললেও বোধহয় সঠিক তুলনা হয় না! রুমাল থেকে বিড়াল তো হয়েইছে, তা-ও আবার রাজ্যের এক আইএএস অফিসারের সই জাল করে। খাতায় কলমে একটি ‘ডোবা’র চরিত্র এভাবেই বদলে ‘বাস্তু’ করে ফেলা হয়েছে বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক তথা জেলা ভূমি ও ভূমিসংস্কার আধিকারিক শামা পারভিন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে বিধাননগর কমিশনারেটের এয়ারপোর্ট থানা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। শুধু এই একটি জমির ক্যারেক্টারই ওই আইএএস অফিসারের সই জাল করে বদলানো হয়েছে, নাকি একটি বড় চক্র এভাবে জালিয়াতি চালাচ্ছে, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে।

Salt Lake Sector V : ভুয়ো মার্কশিট বানিয়েও অধরা চাকরি, প্রতারিত যুবক! সেক্টর ফাইভের সংস্থায় সর্বত্র ‘জালিয়াতি’
পুলিশ সূত্রের খবর, যে জমির চরিত্র বদলে ফেলা হয়েছে, সেটি উত্তর ২৪ পরগনার গঙ্গানগর মৌজার অন্তর্গত। সেই জমির বিষয়ে গত জুন মাসে একটি আবেদন জমা পড়ে জনৈক বিধানচন্দ্র রায়ের নামে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে জমির চরিত্র বদল বা কনভারশন সংক্রান্ত শংসাপত্রও ইস্যু করা হয় গত জুলাইয়ে। এরপর বিষয়টি নজরে আসে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগের। তাতে দেখা যাচ্ছে, মধ্যমগ্রামের গঙ্গানগর মৌজায় ০.০১৮০ একর জমির চরিত্র বদল করা হয়েছে। এবং এই শংসাপত্র আপলোডও করা হয়েছে বিভাগীয় পোর্টালে।

Crime News : দলিতকে পিটিয়ে খুন, নগ্ন করে হেনস্থা মাকে
তার ভিত্তিতে উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক শামা পারভিন তাঁর অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, তাঁর সই জাল করে ওই ভুয়ো শংসাপত্র বের করা হয়েছে। আসল আবেদনপত্রটি এখনও বিবেচনাধীন অবস্থায় রয়েছে। অথচ এই আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁর অফিস থেকে বাস্তবে কোনও মেমো ইস্যুই করা হয়নি। এডিএমের অভিযোগের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ জালিয়াতি, জাল নথিকে আসল বলে ব্যবহার করা, সরকারি আধিকারিকের সই জাল করা–সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

Land and Land Reforms West Bengal : জমির দালালদের খপ্পরে পড়ে পকেট ফাঁকা? এই নম্বরে ফোন করে চান সাহায্য
পুলিশ ও জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগ জানার চেষ্টা করছে, যে কেউ জমির চরিত্র বদলের জন্য আবেদন করতেই পারেন। কিন্তু সেই আবেদনের ভিত্তিতে ওই জমি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে, প্রয়োজনীয় নথিপত্র পরীক্ষা করে তবেই শংসাপত্র ইস্যু করার কথা। তাহলে এক্ষেত্রে ‘ডোবা’কে ‘বাস্তু’ হিসাবে উল্লেখ করে কনভারশন সার্টিফিকেট দেওয়া হলো কীভাবে?

Bajaj Finance : বাজাজ ফিন্যান্সের লোন দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকার ‘প্রতারণা’, অভিযুক্তের তৃণমূল যোগ?
জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের সই জালই বা করলেন কে? জমির চরিত্র বেআইনি ভাবে বদল করে জলাজমি ভরাটের অভিযোগ কলকাতা বা তার আশপাশ এলাকায় নতুন নয়। কিন্তু যেভাবে এক্ষেত্রে একজন আমলার সই জাল করে ভুয়ো শংসাপত্র পোর্টালে আপলোড করে ফেলা হয়েছে–তাতে সর্ষের মধ্যে ভূত থাকার সম্ভাবনাই প্রাথমিকভাবে দেখছেন তদন্তকারীরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *