পুলিশ সূত্রের খবর, যে জমির চরিত্র বদলে ফেলা হয়েছে, সেটি উত্তর ২৪ পরগনার গঙ্গানগর মৌজার অন্তর্গত। সেই জমির বিষয়ে গত জুন মাসে একটি আবেদন জমা পড়ে জনৈক বিধানচন্দ্র রায়ের নামে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে জমির চরিত্র বদল বা কনভারশন সংক্রান্ত শংসাপত্রও ইস্যু করা হয় গত জুলাইয়ে। এরপর বিষয়টি নজরে আসে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগের। তাতে দেখা যাচ্ছে, মধ্যমগ্রামের গঙ্গানগর মৌজায় ০.০১৮০ একর জমির চরিত্র বদল করা হয়েছে। এবং এই শংসাপত্র আপলোডও করা হয়েছে বিভাগীয় পোর্টালে।
তার ভিত্তিতে উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত জেলাশাসক শামা পারভিন তাঁর অভিযোগ পত্রে লিখেছেন, তাঁর সই জাল করে ওই ভুয়ো শংসাপত্র বের করা হয়েছে। আসল আবেদনপত্রটি এখনও বিবেচনাধীন অবস্থায় রয়েছে। অথচ এই আবেদনের প্রেক্ষিতে তাঁর অফিস থেকে বাস্তবে কোনও মেমো ইস্যুই করা হয়নি। এডিএমের অভিযোগের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ জালিয়াতি, জাল নথিকে আসল বলে ব্যবহার করা, সরকারি আধিকারিকের সই জাল করা–সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগ জানার চেষ্টা করছে, যে কেউ জমির চরিত্র বদলের জন্য আবেদন করতেই পারেন। কিন্তু সেই আবেদনের ভিত্তিতে ওই জমি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে, প্রয়োজনীয় নথিপত্র পরীক্ষা করে তবেই শংসাপত্র ইস্যু করার কথা। তাহলে এক্ষেত্রে ‘ডোবা’কে ‘বাস্তু’ হিসাবে উল্লেখ করে কনভারশন সার্টিফিকেট দেওয়া হলো কীভাবে?
জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের সই জালই বা করলেন কে? জমির চরিত্র বেআইনি ভাবে বদল করে জলাজমি ভরাটের অভিযোগ কলকাতা বা তার আশপাশ এলাকায় নতুন নয়। কিন্তু যেভাবে এক্ষেত্রে একজন আমলার সই জাল করে ভুয়ো শংসাপত্র পোর্টালে আপলোড করে ফেলা হয়েছে–তাতে সর্ষের মধ্যে ভূত থাকার সম্ভাবনাই প্রাথমিকভাবে দেখছেন তদন্তকারীরা।