বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: আরও অস্বস্তিতে অনুব্রত মণ্ডল। কেন? গোরুপাচার মামলা শেষপর্যন্ত সরল দিল্লির আদালতেই। ইডি-র আবেদন মঞ্জুর করল আসানসোলের বিশেষ আদালত।
আরও পড়ুন: College Student death: ফের কলেজ পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু, হাবরার ছাত্রের দেহ উদ্ধার পাঁশকুড়ায়!
বীরভূমের কেষ্ট এখন তিহাড় জেলে। স্রেফ সিবিআই নয়, গোরুপাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি-ও। কবে? গত বছরের নভেম্বরে। শুধু তাই নয়, মামলাটি দিল্লির রাইস অ্যাভিনিউ কোর্টে নিয়ে যেতে চেয়ে আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মামলার রায় ঘোষণা হল আজ, বুধবার।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ে ইডি। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানতে চান, ‘কেন মামলাটি দিল্লিতে সরানো হবে? কোন আইনে কে এই অধিকার ইডি-কে দিয়েছে? ইচ্ছা করলেই কি যেকোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, কোনও মামলা যেকোনও রাজ্যের আদালতে নিয়ে যেতে পারে? পিএমএলএ বা প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের মামলা যে ইডি করবে, কোথায় সরকারি অর্ডার বা গেজেট নোটিফিকেশন আছে’? এরপর আইনে বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করে পাল্টা যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করে ইডি-র আইনজীবীও।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘আসানসোল ছিল, দিল্লিতে গেল। এতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আসানসোলেই হোক আর দিল্লিতেই হোক, বিচার যেন ঠিকমতো হয়। যেন অপরাধীদের ঠিক মতো চিহ্নিত করা হয়। অপরাধীদের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায়’। তাঁর মতে,’বালি পাচার, কয়লা পাচার, গোরু পাচার, সোনা পাচার, পাচারের রাজত্ব হয়ে গেল পশ্চিমবাংলা। এটা পশ্চিমবাংলার মানুষ নিতে পারছে না’।
আরও পড়ুন: Ganga Errosion| Ratua: রতুয়ায় উঠোনে হাজির ভয়ংকর গঙ্গা, গিলে খাচ্ছে একের পর এক বাড়িঘর
আদালতের রায় নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য় করতে চাননি তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তবে তাঁর প্রশ্ন, ‘অপরাধ নাকি সংগঠিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। অপরাধীরা পশ্চিমবঙ্গের। অভিযোগ যেটা আছে, টাকা পয়সা এদিক ওদিকে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। যারা সাক্ষী তাঁরাও পশ্চিমবঙ্গের, বাংলায় কথা বলে। এসব সত্ত্বেও দিল্লি আদালতে নাকি ভালো হবে, যদি শুনানি হয়। তার মানে কি এই সিবিআই আদালত যদি পশ্চিমবঙ্গে থাকে, তারা অপারগ? তাদের কি যোগ্যতা নেই’? সঙ্গে অভিযোগ, ‘প্রমাণ দিয়ে তো শাস্তি বিধান করতে হবে, সেদিকে তো কেউ এগোচ্ছে না। একটা রাজনৈতিক ধারনা তৈরি করছে ইডি এবং সিবিআই। কাজের কাজ কী করছেন, সেই নিয়ে মানুষের মনে প্রচুর প্রশ্ন আছে’।